যশোরের কেশবপুরে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ছাদের পলেস্তারা খসে মাথায় পড়ে সাবিহা তাবাসছুম নাজিয়া নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহত পরীক্ষার্থী উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের অধ্যাপক রুহুল আমিনের মেয়ে।
জানা গেছে, কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিয়া রবিবার ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ২০৬ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা পর ঝুঁকিপূর্ণ ছাদের এক খণ্ড পলেস্তারা খসে তার মাথায় পড়লে সে আহত হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা রুহুল আমিন জানান, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে তাঁর মেয়ের মাথা ফুলে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য তিনি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আছাদুজ্জামান বলেন, ‘ছাদের পলেস্তারার ছোট্ট একটি অংশ ওই পরীক্ষার্থীর মাথায় পড়েছে। তবে তা আহত হওয়ার মতো নয়। তবুও সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসককে দেখানো হয়েছে। এতে তার পরীক্ষা দিতে কোনো অসুবিধা হয়নি।’