প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রামের পাঁচ সহকারী শিক্ষককে বদলির সন্দেহজনক আদেশ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদেশ হাতে পেয়ে শিক্ষকরা কর্মরত বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে গত ১৫ দিনেও কোনো বিদ্যালয়ে যোগদান করতে পারেননি। আদেশের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
জানা গেছে, ১০ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশনের পরিচালকের অফিসিয়াল ই-মেইল থেকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক উপপরিচালকের কার্যালয়ের অফিসিয়াল ই-মেইলে পাঁচ সহকারী শিক্ষকের বদলির আদেশ পাঠানো হয়। আদেশ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সুখছড়ি রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিমা দাসকে বদলি করা হয়েছে পাঁচশাইল উপজেলায় (যে কোনো স্কুলে)। ফটিকছড়ি উপজেলার পূর্ব ফরহাদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসিনা বেগমকে ডবলমুরিং উপজেলার মাদারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাহমিনা ফেরদৌসীকে পাহাড়তলীর যে কোনো স্কুলে। বোয়ালখালী উপজেলার ২৮ নম্বর শাকপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিলকিস আরা বেগমকে বদলি করা হয়েছে বন্দর উপজেলার দরবেশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ছাড়া আরও একজন শিক্ষককে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, পাঁচ শিক্ষকের আদেশ উপপরিচালকের দপ্তরে পাঠানো হলেও জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়নি। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা বদলির আদেশ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে গেলে তাদের সন্দেহ হয়। তারা বিষয়টি জেলায় অবহিত করেন ও শিক্ষকদের যোগদান করতে দেননি। এর পর বদলির সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছি এবং বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক উপপরিচালক সুলতান মিয়া বলেন, ই-মেইল পেয়েছি। এই ই-মেইলের বিষয় নিয়ে অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।