বাণিজ্যিক পাইলট পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে ১ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় আটক হয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) এক কর্মকর্তা। গতকাল দুর্নীতি দমন কমিনের উপ-পরিচালক মাদুসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন টিম তাকে আটক করে। এইচ এম রাশেদ সরকার নামে আটক হওয়া ব্যতীত সিভিল এভিয়েশনের জুনিয়ার লাইসেন্স ইন্সপেক্টরও কনসালট্যান্ট।
দুদক সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের জুনিয়র লাইসেন্স ইন্সপেক্টর ও কনসালট্যান্ট এইচ এম রাশেদ সরকারকে ঘুষের ১ লাখ টাকাসহ উত্তরার বিএফসি রেস্টুরেন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছ। লাইসেন্স যাচাইপূর্বক বাণিজ্যিক পাইলট পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য এই ঘুষ নেন রাশেদ। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল এই ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে। এ ঘটনায় সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ঘুষ দাবি করার পর তার কথা মতো ঘুষের টাকা উত্তরার ওই হোটেলে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিত্বে দুদকের টিম হোটেলে গিয়ে ফাঁদ পাতে। পরে ঘুষের টাকা নেয়ার জন্যে সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তা রাশেদ হোটেলে আসে। কথা বার্তার এক পর্যায়ে চুক্তি অনুযায়ী টাকা নেয়ার সময় ছদ্মবেসে বসে থাকা দুদক কর্মকর্তারা তাকে আটক করে।