পাঠ্যবইয়ে ‘শ্যামলা’ ও ‘ফর্সা’ মেয়ে, একটি প্রতিবাদ

ফারহানা আক্তার বহ্নি |

নবম-দশম শ্রেণির ‘গার্হস্থ্য বিজ্ঞান’ বইয়ে মেয়েদের গায়ের রং ও পোষাক নিয়ে লেখা কয়েকটি বাক্য ও শব্দে আপত্তি তুলেছেন সচেতন ছাত্রী ও অভিভাবকরা। ‘শ্যামলা ও ফর্সা’ মেয়েরা কে কোন পোষাক পরিধান করবেন তা উল্লেখ করা হয়েছে বইটিতে। এসব নিয়ে সমালোচনা চলছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বইটি ইতিমধ্যে সারাদেশের লাখ লাখ ছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রকাশিত ১৮৪ পৃষ্ঠার বইটির লেখক ছয়জন। তাঁরা হলেন, প্রফেসর ইসমাত রুমিনা, সোনিয়া বেগম, গাজী হোসনে আরা, শামসুন নাহার বীথি, সৈয়দা সালিহা সালিহীন সুলতানা ও রেহানা ইয়াছমিন। সম্পাদনায় ছিলেন প্রফেসর লায়লা আরজুমান্দ বানু ও প্রফেসর সৈয়দা নাসরীন বানু। ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের কয়েকলাখ ছাত্রীর হাতে ইতিমধ্যে বইটি তুলে দেয়া হয়েছে। বইটির প্রথম প্রকাশকাল নভেম্বর ২০১২। পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশ হয় ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর  মাসে ও পুনর্মুদ্রণ হয় গত বছরের আগস্টে। বইটিতে প্রসঙ্গ কথা লিখেছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

বইটির পঞ্চদশ অধ্যায়ের শিরোনাম ‘পোশাকের শিল্প উপাদান ও শিল্পনীতি।’ বইটির ১৫১ নং পৃষ্ঠার শেষ দুই লাইন এরকম: ‘ফর্সা মেয়েকে যে কোনো রঙের পোশাকেই সুন্দর দেখাবে। অন্যদিকে গায়ের রং শ্যামলা হলে গাঢ় রং বর্জন করে হালকা রং নির্বাচন করতে হবে, যাতে তার গায়ের রং উজ্জ্বল দেখায়।’

আবার ১৫২ নম্বর পৃষ্ঠার প্রথম লাইন একরম: ‘শ্যামলা মেয়েদের হালকা উজ্জ্বল রঙের পোশাকেই বেশি মানানসই।’  

আমি এসব শব্দচয়নের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে বইটি তুলে নিয়ে আপত্তিকর শব্দগুলো বাদ দিয়ে নতুন বই বিতরণ করা হোক।

নিবেদক 

ফারহানা আক্তার বহ্নি 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024020671844482