গত ৫ তারিখে হলের খাবারের মানোন্নয়ন, পরিবহন সংকট দূর করাসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যামপাস বন্ধ ঘোষণা করে এবং হলগুলো খালি করে দেয়ার নির্দেশ দেয়। এদিকে আগামী ১৬ নভেম্বর পাবিপ্রবিতে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে প্রায় চলিশ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাবনা শহরে আসবেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই পাবনা শহরে আত্মীয়স্বজন নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বড় ভাইয়া-আপুরাই তাদের শেষ ভরসা। ভর্তি পরীক্ষার সময় তাঁরাই বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ভর্তি পরীক্ষার দিন কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার জন্য ক্যামপাসে বিভিন্ন জেলা সমিতি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাত্ করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের সমস্ত কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আগত বিশাল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে রাখার মতো ক্যাপাসিটি পাবনা শহরের হোটেলগুলোর নেই। তাছাড়া সবার সামর্থ্যও নেই হোটেলে ভাড়া দিয়ে থাকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো চালু থাকলে তারা সেখানে থাকতে পারত। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম থেকে প্রায় এক বছর পিছিয়ে আছে। প্রতি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা কয়েক মাসের সেশনজটে রয়েছে। এ অবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে এবং আগত বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর সুবিধার কথার চিন্তা করে অতিদ্রুত ক্যামপাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যামপাস বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না।
লেখক: শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়