ছয়দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় তিনি প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে বাস ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করে উপাচার্যের বাসভবনও অবরুদ্ধ করে রাখে। সোমবার (০৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের মূল ফটক ও প্রশাসনিক ভবন আটকে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিষয়টি প্রশাসন আমাদের অবগত করলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে ছয় দফা দাবি করে আসছি। দাবি মেনে নেবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। অথচ প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। ইতোপূর্বে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষে আন্দোলন করেছি। প্রতিবার আমাদের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খেয়াল খুশিমতো ক্যাম্পাস পরিচালনা করে আসছে। ভিসি স্যার আমাদের সঙ্গে মজা করছেন। তিনি একজন অযোগ্য ভিসি, প্রশাসন চালানোর মতো দক্ষ নয়। তাই আমরা ভিসি স্যারসহ সব প্রশাসনিক পদধারীদের পদত্যাগ দাবি করছি।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষসহ পরবর্তী সব ব্যাচ সমূহের অডিন্যান্সের আওতাভুক্ত করা, হলের ডাইনিংয়ের খাবার উন্নয়নের জন্য ভর্তুকি প্রদান, ক্লাসরুম ও চেয়ার সংকট দূর করা, পরিবহন সংকট, ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন।
এ বিষয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেন, বিষয়টি উদ্বেগের তবে এটি প্রত্যাশিত নয়। আশা করি ভিসি স্যার দ্রুত এ অবস্থা নিরসনের জন্য উদ্যোগ নেবেন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রোস্তম আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি লাঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ধাওয়ার কথা বললে তিনি বলেন আমি পিছনে না তাকিয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসি। এখন পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করছেন পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এবনে মিজান বলেন, ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। ভিসি স্যারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে তিনি বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।