শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিকে ‘খারাপ’ কার্যক্রম বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এমপিওভুক্তি কার্যক্রমে জালিয়াতি আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩ জুলাই) সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মুহিত এ মন্তব্য করেন।
সরকারে শরিক তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রীর কাছে বর্তমান অর্থবছরে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চান। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এমপিওভুক্তির জন্য এ অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এখানে আমি একটি কথা বলতে চাই। এমপিওভুক্তি একটি খারাপ কার্যক্রম, আমরা গ্রহণ করেছিলাম এবং চালিয়ে যাচ্ছি।”
“এতে শুধুমাত্র কিছু শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য এটা কোন ভালো কার্যক্রম নয়। উপবৃত্তিতে অর্থ দেওয়া যায়, সেটা অনেক ভালো কাজ করে। স্কুল ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে শিক্ষার উন্নয়ন হবে, অনেক ভালো কাজ হবে। কেন আপনারা (সংসদ সদস্য) সেগুলোর দিকে নজর দেন না? বারবার এমপিওভুক্তি করতে চেষ্টা করেন।”
মুহিত আরও বলেন, “এমপিওভুক্তিতে যথেষ্ট জালিয়াতি ছিলো। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রী অনেক কমাচ্ছেন। কিন্তু এটা খুব ভালো প্রোগ্রাম নয়। আমার এই মতামতটা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম। আপনারা এখন নিজেরা চিন্তা করে দেখেন।”
উল্রেখ্য, নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের কিছু আর্থিক অনুদান দেয়া শুরু করে। একে এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বা বেতন-ভাতার সরকারি অংশ বলা হয়। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনে শতভাগ পান। সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারি এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করছেন। অনশনরত শিক্ষকদের যুক্তি সরকার তাদের প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি ও স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তাদের নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচচশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। ননএমপিও শিক্ষকরা পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন। তাই তাদেরকে এমপিওভুক্ত করা উচিত।