নোয়াখালীর হাতিয়ায় দ্বীপ সরকারি কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই কলেজেরই এক পিয়নকে মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় আরেক জন শিক্ষক পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও তা প্রতিহত করার কোনো চেষ্টা করেননি বলেও জানা গেছে।
এ ঘটনায় আহত পিয়ন রাসেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের শিক্ষক তোফায়েল আহমেদ কলেজ চলাকালীন পিয়ন রাসেলকে মোবাইলে ফোন করে তাঁর নিকট আসতে বলেন। সে সময়মতো না আসায় কলেজের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক আরিফ ও অন্য পিয়ন সাখাওয়াত উল্যার সামনে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এ সময় শিক্ষকের এলোপাতাড়ি থাপ্পড়ে পিয়ন রাসেলের ঠোট ফেটে যায়। পরে আহত রাসেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
রাসেল দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, ‘আমি ঘটনাটি মৌখিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষকে জানিয়েছি, তিনি এর বিচার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মারের কারণে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচুর ব্যথা থাকায় আমি তিন দিনের ছুটি নিয়েছি।’
রাসেল আরও জানায়, এর আগেও ওই শিক্ষক তাকে কয়েকবার ধমক দেয় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে।
শিক্ষক তোফায়েল আহমদ দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, রাসেল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। সে অনিয়ম করেছে, তাই তাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়েছি। এটা শুধু শাসন অন্য কিছুই নয়।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ দেবব্রত দাস গুপ্ত দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি; আমি অসুস্থ থাকায় কলেজে আসতে পারিনি। আমি কলেজে আসলে বিষয়টি নিয়ে বসবো।