হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগের কর্মচারীদের হাতে জামালপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে হাসপাতালের ওয়ার্ডে কর্মবিরতি ও ইনস্টিটিউটের ক্লাস বর্জন করেছেন ছাত্রীরা। শতাধিক ছাত্রী রোববার সকাল থেকে ফার্মেসি বিভাগ ঘেরাও ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাঁরা ঘটনায় জড়িত একজন ফার্মাসিস্ট ও দুজন পিয়নের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জড়িত ওই তিন কর্মচারীকে তিন দিনের জন্য সাময়িক অব্যাহতি এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এরপর ছাত্রীদের একটি অংশ ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবায় এবং বাকিরা ক্লাসে ফিরে গেছেন। ছাত্রীদের আন্দোলনের কারণে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রায় তিন ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হয়।
দুই ছাত্রী ও হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জামালপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ক্লাস করার পাশাপাশি তিন ব্যাচের ১৪২ জন ছাত্রী জামালপুর সদর হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে পালাক্রমে সকাল ও সন্ধ্যায় ছয় ঘণ্টা করে এবং রাতের পালায় ১২ ঘণ্টা করে স্টাফ নার্সদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের মধ্যে অসুস্থ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তানজিনা আক্তার ও আমেনা আক্তার কেয়া গত শনিবার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসকের কাছ থেকে স্লিপ নিয়ে ফার্মেসি বিভাগে ওষুধ নিতে যান। এ সময় স্লিপের লেখায় কাটাছেঁড়া দেখে ফার্মাসিস্ট মোবারক হোসেন ওষুধ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে মোবারক ছাত্রী দুজনের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। একপর্যায়ে ওই ফার্মাসিস্ট এবং ন্যাশনাল সার্ভিসের দুজন অস্থায়ী পিয়ন মাজহারুল ইসলাম মনির ও শ্যামল দুই ছাত্রীকে মারতে যায়, ‘তুই-তোকারি’ করে এবং ধমক দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফার্মাসিস্ট মোবারক বলেন, ‘ওষুধের স্লিপে কাটাছেঁড়া থাকায় আবার ডাক্তারের কাছ থেকে লিখে আনতে বলি। তখনই ওই দুই ছাত্রী বেশ উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। আমি মারতে যাইনি বা কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি।’