বরিশালে একটি কেন্দ্রে পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে এসএসসির নৈব্যত্তিক পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘটে এ ঘটনা। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এরফলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে আশংকা পরীক্ষার্থীদের। সমস্যার সমাধান দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
খবর পেয়ে কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: ইউনুস। এসময় বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান তিনি। শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান।
নগরীর জগদীশ সারস্বত বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, দুটি কক্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বাংলা প্রথম পত্রের নৈব্যত্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষা শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করার সময় বিষয়টি নজরে আসে। তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানায়। মূলত ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা প্রশ্ন হওয়ার কথা। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নজরে আসায় কান্নায় ভেঙে পরে তারা।
অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ অবস্থায় খাতা মূল্যায়ন হলে যেসব শিক্ষার্থী ২০১৮ খ্রিষ্টব্দের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এদিকে জগদীশ সারস্বত বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শাহ আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ঘটনার সমাধান না হলে তার স্কুলের ভালো শিক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয় হবে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হবে।
এ ঘটনা এড়াতে আরও সচেতন হওয়া উচিৎ ছিলো বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্র সচিব এসএম ফখরুজ্জামান। দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা প্রশ্নে জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।