লালমনিরহাটে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় একটি কেন্দ্রের ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসে ১৯৩ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পুরানো প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ায় কেন্দ্র সচিবকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা এক প্রশ্নে জবাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
পরীক্ষার্থী অভিভাবক ও কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চলমান এসএসসি পরীক্ষার ৭০২ নং কেন্দ্র লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়। একজন অনুপস্থিত মিলে এ কেন্দ্রে মোট ৮৬৭ জন পরীক্ষার্থী সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত দেয়। পুরাতন সিলেবাসের অধীনে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের আলাদা কক্ষে পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রের সচিব শফিকুল আলম সে নির্দেশনা মানেননি। ফলে, কেন্দ্রের ১,২,৩,২০ ও ২১ নং কক্ষের মোট ১৯৩ জন পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এ ১৯৩ পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার শেষ সময় বিষয়টি কেন্দ্র সচিব বড়বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল আলম জানতে পেরে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোলারসহ জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেন। বোর্ডের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ওই সবচ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদাভাবে বান্ডিল করে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে কেন্দ্র সচিব এবং ওই সব কক্ষে পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের বরখাস্তের নির্দেশ দেন। সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কাজিচওড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হীরামানিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন।
বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সদ্য ও বরখাস্তকৃত কেন্দ্র সচিব শফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক ওই সব পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদা করে পাঠানো হয়েছে। এসব পরীক্ষার্থীর ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেন তিনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে কেন্দ্র সচিবকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কক্ষের পরিদর্শকদেরও বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু জাফর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দায়িত্বের অবহেলার দায়ে কেন্দ্রসচিবসহ কক্ষ পরিদর্শকদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে যাতে প্রভাব না পড়ে তাই বোর্ডের সাথে কথা বলে উত্তরপত্রগুলো আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছে। এ কেন্দ্রে নতুন একজনকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।