শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের মহিনুর রহমান পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। ছেলে মেহেদী হাসান সাগরকে (১৫) উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন শার্শা সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সাগর নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র। দরিদ্র বাবা ছেলেকে পুরো স্কুল পোশাক কিনে দিতে পারেননি। স্কুল পোশাকের শার্ট পরলেও প্যান্ট না পরায় সাগরকে নির্মমভাবে পিটিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
সূত্র জানায়, গত সোমবার সকালে স্কুল পোশাকের প্যান্ট ছাড়া শুধু শার্ট পরে বিদ্যালয়ে যাওয়ায় শ্রেণিকক্ষ থেকে সাগরকে ডেকে নেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। এরপর ল্যাবরুমে সাগরকে বেধড়ক পেটান তিনি। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা।
এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ইউএনও পুলক কুমার মণ্ডল।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ছাত্র সাগরকে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘যা করেছি তার মঙ্গল ও ভালোর জন্য করেছি।’
অনেক অভিভাবক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জেল পর্যন্ত খেটেছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের একটি মহলের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।