গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সেলিম আকন (২৫) নামে প্যারা-মেডিকেলে পড়ুয়া এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) মধ্যরাতে উপজেলার উলুসারা গ্রামে মারা যায় সে। পরিবারের সদস্যরা স্ট্রোকের কারণে মারা গেছে দাবি করলেও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা সংক্রমণ ছিল কি না তা জানতে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া মৃতের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানোসহ পরিবারের লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
নিহতের বাবা সুরুজ্জামান জানান, সেলিম ঢাকার একটি বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটে (প্যারা-মেডিকেলে) শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল। সম্প্রতি ইন্টার্নশিপ করতে নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিকে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে যোগ দেয়। সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২২ দিন আগে সে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি চলে আসে। এরপর থেকে সে বাড়িতে আছে।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় একটি মাঠে ফুটবলও খেলেছে। রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিল সেলিম। হঠাৎ রাত ১২টার দিকে তার বুকে ব্যথা উঠে এবং চিকিৎসকের কাছে নেয়ার আগেই হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে (স্ট্রোক করে) মারা যায়। তার শ্বাসকষ্ট কিংবা করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সালাম বলেন, শ্বাসকষ্ট না থাকলেও সেলিমের ঠাণ্ডা-জ্বর ছিল। এজন্য তিনি ঔষধও সেবন করেছেন। করোনা সংক্রমণ ছিল কি না তা নিশ্চিত হতে সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর’এ পাঠানো হয়েছে এবং নিহতের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হয়েছে। ওই যুবকের দাফন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী করা হবে।
কাপাসিয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসমত আরা বলেন, নিহত সেলিম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই তার ও স্বজনদের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আপাতত ওই বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়রেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।