গত ৬ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের একাংশের প্রতিবাদপত্র না পাঠিয়ে সরাসরি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকার বাড্ডার ‘ন্যাশনাল কলেজ’ অধ্যক্ষ মো. শহীদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম সরদার।
প্রকৃতপক্ষে প্রতিবেদনটি দৈনিক সংবাদের। সংবাদেরই বরাত দিয়ে তা পুন:প্রকাশ করে দৈনিক শিক্ষাডটকম। যে প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করেছেন তার শিরোনাম উল্লেখ করা হয়নি নোটিশে। দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানের নামে পাঠানো উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, ‘প্রতিষ্ঠানটিকে এমপিওভুক্ত করতে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনই নেয়া হয়নি, বক্তব্য সত্য নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক তদন্তে ট্রাস্টের দুর্নীতির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত কমিটি বাতিল করা হয় এবং এডহক কমিটি বোর্ডের নির্দেশে গঠন করা হয়, যা বর্তমানে আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কখনোই ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত ও প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় ট্রাস্টের অনুমতির বিষয় আসে কি করে?’
উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানে কোন দুর্নীতি হয়নি। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ট্রাস্টের দুর্নীতির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত কমিটি বাতিল করে এডহক কমিটি গঠন করা হয়। উকিল নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ট্রাস্টের অন্তুর্ভুক্ত ও প্রতিষ্ঠিত নয়।
এখানে দৈনিক শিক্ষার প্রশ্ন হলো, ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত ও প্রতিষ্ঠিত না হলে শিক্ষা বোর্ড ট্রাস্টের দুর্নীতি খুঁজেছে কেন? কেনইবা এই কমিটি বাতিল করেছে? অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু উকিল নোটিশের প্রথমে আরো বলা হয়েছে, ট্রাস্টের অর্ন্তুভুক্ত ছিল না। কথার মারপ্যাচে নোটিশে কি প্রমাণ করতে চেষ্টা করা হয়েছে সেটা বোধগম্য নয়।
নোটিশে দাবি করা হয়, ‘মো. শাহজাহান ও শহিদুল্লাহ বাদল নামীয় দুই ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটি জোর পূর্বক দখলের জন্য অধ্যক্ষকে মামলা-হামলা করে হয়রানি করে আসছে। কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল আলম শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করেছেন মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা মিথ্যা। অধ্যক্ষ শহীদুল আলম পারিবারিক দ্বন্ধে স্ত্রী কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় স্থায়ী জামিনে আছেন।’ প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।ি
নোটিশে আরো দাবি করা হয়, ‘প্রতিষ্ঠানে কোন দুর্নীতি হয় নাই, কোন বিষয় গোপন করা হয় নাই ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয় নাই। অস্তিত্ববিহীন জমির দালিলাদি তৈরি করে কর্তৃপক্ষকে ধোকা দিয়ে এমপিওভুক্তির আবেদন করা হয়েছে মর্মে সংবাদটি মনগড়া ও বানোয়াট।’
উকিল নোটিশের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদকের বক্তব্য: ‘ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশন’র প্যাডে চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও মহাসচিব শহিদুল্লাহ বাদল গত ৫ নভেম্বর শিক্ষা উপমন্ত্রী বরাবর ‘গুরুতর অনিয়মে জর্জরিত ন্যাশনাল কলেজ, বাড্ডা, ঢাকা এর অপরাধ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং ভুল ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করার জন্য বিগত ২৩ অক্টোবর ঘোষিত এমপিওভুক্তি বাতিলকরণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক একটি অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগে শিক্ষকদের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে।