যশোরের মণিরামপুরে এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছবি জালিয়াতি করে প্রকৃত পরীক্ষার্থী ছাত্রীর বদলে প্রতিষ্ঠানের আরেক ছাত্রীকে দিয়ে জেডিসি পরীক্ষা দেয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শাহ-আলী মাদরাসা সুপার আব্দুস সালামের এমন কাজে অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে সহায়তার ঘটনা তদন্ত করে সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির এক অভিভাবক সদস্য।
জানা গেছে, মাদরাসা সুপারের মেয়ে আসমা সাদিয়ার বদলে সদ্য সমাপ্ত জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্রী শরিফা খাতুন। আসমা সাদিয়ার প্রবেশপত্রের ছবি উঠিয়ে জালিয়াতি করে শরীফার ছবি লাগিয়ে জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ানো হয়। শরীফা জানায়, সুপার হুজুর তাকে বলে এবারো সে জেডিসি পরীক্ষা দিলে মাদরাসার ভালো হবে। হুজুরের কথা মতো প্রবেশপত্র নিয়ে শরীফা জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সুপারের মেয়ের জন্য একই কায়দায় ছবি জালিয়াতি করে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায়ও শরীফাকে অড়শ নেয়ানো হয়েছিলো।
মাদরাসার সভাপতি ফারুক হুসাইন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ বিষয়ে এক অভিভাবক সদস্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে ঘটনা সত্য হলে নিয়মমাফিক সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।