প্রতিবন্ধী স্কুলের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তিসহ ৬ দফা দাবিতে গতকাল ২৮ এপ্রিল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিনের অবস্থানে ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের সংগঠনের’ ব্যানারে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেছেন তাঁরা।
এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন রাসেল জানান, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, থেরাপি, জীবন দক্ষতার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোর চেষ্টার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীরা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারছে। কিন্তু, গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্বীকৃতি অনুমোদনের অভাবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন করা এসব বিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান একান্তভাবে জরুরি হয়ে পড়েছে। এমপিও ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই, ৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষক সমাজ।
শিক্ষকদের ৬ দফা দবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ন্যূনতম ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকলে বিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বীকৃতি ও এমপিও প্রদান, আগামী এক মাসের মধ্যে এনডিডি ও ননএনডিডি বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা চূড়ান্তকরণ, আগামী একমাসের মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা মোতাবেক পরিদর্শনকৃত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর এমপিওভুক্তি, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের টিফিন ও মিড ডে মিল চালুকরণ, প্রতিটি উপজেলায় একটি প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপনের স্বীকৃতি এবং এনডিডি ও ননএনডিডি বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা গ্রহণযোগ্য ও প্রাসঙ্গিক করতে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের সংগঠনের আরোচনা ও মতামত গ্রহণ।
অবস্থানরত শিক্ষকরা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির প্রত্যাশা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তিসহ বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের সংগঠনের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হলে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা পুর্নবাসনের পথ খুলে যাবে।