প্রতিষ্ঠান সরকারি শিক্ষক বেসরকারি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বেসরকারি স্কুল-কলেজ সরকারি করা হলেও এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেসরকারিই রয়ে গেছেন। পদ সৃজন না হওয়ার কারণে তাদের চাকরি এখনো জাতীয়করণ করা হয়নি। বছরের পর বছর ধরে এই শিক্ষকদের আত্তীকরণ আটকে থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আগের মতোই টিউশন ফিসহ অন্যান্য খাতে অর্থ আদায় চলছেই। এ ছাড়া আটকে আছে প্রতিষ্ঠানের নানা উন্নয়নমূলক কাজও। শনিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন  আকতারুজ্জামান।

জানা গেছে, সরকার জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়ার পর এসব স্কুল-কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী পদে নিয়োগও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু জাতীয়করণের পর এসব প্রতিষ্ঠানে সারা দেশের তিন সহস্রাধিক শিক্ষক অবসরে গেছেন। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে পাঠদান ব্যাহতও হচ্ছে অনেক স্কুল-কলেজে। জাতীয়করণ হওয়া স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা জানান, পদ সৃজনের নামে দীর্ঘসূত্রতায় আটকে আছে তাদের চাকরি সরকারিকরণের কাজ। জাতীয়করণের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করা হলেও অনেক স্কুল-কলেজ ফের পরিদর্শনের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- সরকারি ঘোষণা দেওয়ার পরও শিক্ষক আত্তীকরণ না হওয়ায় নামে- বেনামে অর্থ আদায় অব্যাহত রেখেছে শিক্ষকরা। উন্নয়ন ফি,  সেশন ফি, মাসিক পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার নামে  মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের কলেজ শাখা সূত্র জানায়, এসব শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। শিক্ষক আত্তীকরণের জন্য মাউশি থেকে প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেটি যাচাই-বাছাই শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পাঠাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। পরে তা আবার আসবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাবে। এ ছাড়াও বেশ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় আত্তীকরণের ক্ষেত্রে। মাউশি সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি এই শিক্ষকদের চাকরি সরকারি স্কুল-কলেজে আত্তীকরণের জন্য তাদের অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। পরে তারা (কলেজ শিক্ষকরা) নন ক্যাডার হিসেবে     গেজেটভুক্ত হবেন। জাতীয়করণ হওয়া কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়ার পর অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। অনেক শিক্ষক অবসরে গেছেন। শিক্ষকদের আত্তীকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হোক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের   

সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, শিক্ষকদের জাতীয়করণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। প্রতি শিক্ষকের কাজ আলাদাভাবে আলাদা ফাইলে করতে হয়। তাই নানা দফতরে স্বাক্ষর করতেই বেশ সময় লেগে যায়, এ জন্যই কিছুটা সময় লাগছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত এসব কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারি করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে ২৯৯ কলেজ ও ৩২৫টি স্কুল সরকারি করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলেজে প্রায় ১২ হাজার এবং স্কুলে প্রায় আট হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042309761047363