কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে লক্ষিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রহিতুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় দু’লক্ষ টাকা মূল্যের ২টি শিশু গাছ গোপনে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিন সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ ছাড়াও শিক্ষার্থী, অভিভাবকগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্কুল সংলগ্ন বসবাসরত কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৯৯১ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার সময় পরিবেশ রক্ষার্থে এলাকার মানুষ বিদ্যালয়ের আঙিনায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন। এখন সেসব গাছগুলো বড় বড় বৃক্ষে রূপান্তর হয়েছে। আর এই গাছগুলো বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নজরে পড়লে সে গত ১৫ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দু’টি শিশু গাছ নিলামে বিক্রয় করার আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ সদস্যদের না জানিয়ে গত ২৬ মে শিতলাই পাড়া গ্রামের মো. শাহাজুল ইসলামকে প্রায় দু’লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ মাত্র ২৬,৯১১/=(ছাব্বিশ হাজার নয় শত এগার) টাকায় বিক্রয় করা হয়।
এদিকে গাছ দু’টি ক্রয়ের দাবি করে গত শুক্রবার প্রতুষ্যে বিদ্যালয় ছুটির দিনে গাছ দু’টি কাটার সময় এলাকাবাসী সাহাজুল ইসলামকে গাছ কাটতে বাঁধা দেয়। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রহিতুল ইসলাম গাছ বিক্রয়ের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, গাছ বিক্রয় ও কাটার বিষয়টি সম্পুর্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানেন। গাছ বিক্রয় ও কাটার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, সরকারি বিধিসম্মতভাবে দরপত্র আহ্বান করে গাছ দু’টি বিক্রয় করা হয়েছে।
এদিকে গোপনে বিদ্যালয় চত্বরের প্রায় দু’লক্ষ টাকার গাছ মাত্র ২৬ হাজার টাকায় বিক্রয় করা নিয়ে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ফুঁসে উঠেছে। তারা গোপনে গাছ বিক্রয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।