মোংলায় শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে ওই প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা লিপিকা বাড়ইকে অন্যত্র বদলির নির্দেশের সুপারিশ করা হয়।
জানাগেছে, মোংলা উপজেলার উত্তর বাশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেব কুমার মন্ডল ও তার স্ত্রী লিপিকা বাড়ই কর্মরত রয়েছেন। তবে ওই প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী স্কুলে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন এবং নানা অনিয়মের সাথে জড়িত রয়েছেন। এঘটনায় ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১০ জানুয়ারি উপজেলায় শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে এসে সহকারী শিক্ষা অফিসার পুস্পজিৎ মন্ডলকে তার দপ্তরে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রধান শিক্ষক দেব কুমার মন্ডল ও তার তিন সহযোগী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় ১৪ জানুয়ারি সমাধানের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম,প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শুমন্ত কুমার পোদ্দার,অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেব কুমার মন্ডল ও সহকারী শিক্ষা অফিসার পুস্পজিৎ মন্ডল কে নিয়ে করেন। ঘটনার সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণসহ উভয়ের বক্তব্য শোনেন তারা। পরে দোষি সাবস্ত্য হওয়ায় প্রধান শিক্ষক দেব কুমার মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খুলনা বরাবর সুপারিশ করে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে উত্তর বাশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেব কুমার মন্ডলেরকে অন্যত্র বদলির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছেন ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। আর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে মোংলা উপজেলার বাইরে বদলি ও শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিত করার কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মোংলা উপজেলা শাখা।
মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, উত্তর বাশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেব কুমার মন্ডলরে বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা সুপারিশ করেছে