ঝিনাইদহে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষক ও কর্মচারীর জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার বিকালে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ আদেশ দেন।
এই চারজন হলেন- সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান, শিক্ষক রবিউল ইসলাম, পিয়ন সাইদুল ইসলাম ও কেরানি আবুল কালাম আজাদ। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন এই স্কুলের ১০ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল-ভাউচার করে আত্মসাৎ করেছেন, এমন অভিযোগ উঠলে শিক্ষক কর্মচারীরা এই টাকার হিসাব চাওয়া নিয়ে তার উপর চড়াও হয়।
এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষিক অভিযোগ করেন যে, জোরপূর্বক তার অফিস রুমে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান, সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম, ল্যাবএসিস্ট্যান্ট আবুল কালাম, চায়না আফরোজ, পিয়ন শহিদুল ইসলামসহ ৭ শিক্ষক কর্মচারী।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে তিনি একটি মামলা দায়ের করলে আদালত তা আমলে নিয়ে আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত চায়না আফরোজসহ ৩ জনকে জামিন দেন। এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানসহ ৪ শিক্ষক কর্মচারীকে কারাগারে পাঠনোর আদেশ দেন।