প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি করতে কেন ব্যর্থ বিসিএস শিক্ষা সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রতিষ্ঠার তিন দশকেও কেন প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি করে আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক নেতৃবৃন্দ? কেন বিলুপ্ত সমিতির ঝগড়া বিবাদ ও ব্যক্তিস্বার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো: গোলাম ফারুক ও কলেজ শাখার পরিচালক মোহাম্মদ শামছুল হুদাকে ব্যবহার করছেন? কেন শিক্ষা অধিদপ্তর ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তা দপ্তরের স্বাভাবিক কাজ কর্ম ফেলে বিলুপ্ত সমিতির কাজের নামে নিজেদের আখের গোছানোর কাজে লিপ্ত? কেন সংগঠনের নামে ক্যাডারের ভাবমূর্তি নষ্টের কাজে লিপ্ত বিলুপ্ত সমিতির কতিপয় নেতা? এসব প্রশ্ন তুলেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা স্বাধীনাত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের নেতৃবৃন্দ। আজ রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মহাপরিচালকের সাথে সাক্ষাত করে এসব প্রশ্ন তুলে ধরেছেন কর্মকর্তারা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের নেতৃবৃন্দ মহাপরিচালকের সাথে আধাঘন্টাব্যাপী আলাপকালে শিক্ষা ক্যাডারের নানাবিধ সমস্যরা কথা তুলে ধরেন। এ সময়ে সংসদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো: নাসির উদ্দিন, সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী, যুগ্ম-আহ্বায়ক বিপুল চন্দ্র সরকার, মো. কওছার আলী, আমিরুল ইসলাম পলাশ, মোসলেম উদ্দিন, সদস্যদের মধ্যে মো: মনিরুল আলম মাসুম, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, চন্দ্র শেখর হালদার, মো: মুকিব মিয়াসহ প্রায় ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। 

‘বিলুপ্ত বিসিএস সমিতির নেতৃত্বে অধিকাংশ সময় ছিলেন বিএনপি--জামাতপন্থী ও বিতর্কিত কর্মকর্তারা। বেসরকারি শিক্ষক সংগঠনগুলো, এমনকি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রীকে একাধিকবার প্রধান অতিথি করার নজির থাকলেও বিসিএস সমিতি ব্যর্থ হয়েছে,’ মহাপরিচালককে বলেন স্বাধীনতা সংসদের একজন সদস্য।   

তিনি মহাপরিচালককে আরও বলেন, ‘সমিতি বিলুপ্ত হলেও কেন মহাপরিচালকের কাছে সালিশির জন্য আসেন? মহাপরিচালক ও প্রশাসন ও কলেজ শাখার পরিচালকের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচনের নামে যা যা করা হয়েছে সবই ব্যক্তিস্বার্থে, ক্যাডারের স্বার্থে নয়।

মহাপরিচালককে বলা হয়, গঠনতন্ত্র অনুসারে সমিতি এখন বিলুপ্ত। গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে বিলুপ্ত সমিতির সভাপতি ও মহাসচিব ক্যাডারকে বিভক্ত করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছেন, অ্যাডহক কমিটি করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধীতা করছে স্বাধীনতা সংসদ।  প্রতিবাদ জানাচ্ছে। 

স্বাধীনতা সংসদের সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ক্যাডারের স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং নিজেদের অস্তিত্ব টেকাতে বিলুপ্ত সমিতির কতিপয় নেতা যা যা করছেন সবই গঠনতন্ত্রবিরোধী। এসবের ঘোর বিরোধী করছে এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে স্বাধীনতা সংসদ। 

স্বাধীনতা সংসদ নেতৃবৃন্দকে কলেজ শাখার পরিচালকের সাথে সাক্ষাত করার পরামর্শ দেন মহাপরিচালক।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা - dainik shiksha রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ - dainik shiksha ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ - dainik shiksha উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ - dainik shiksha আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028290748596191