প্রধানমন্ত্রীর কাছে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডবঞ্চিত শিক্ষকদের প্রত্যাশা

মোহাম্মদ আলী বেলাল |

বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ন্যায্য টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বঞ্চিত সহকারী শিক্ষক পরিবার আনন্দিত, উল্লসিত, অভিভূত।  

প্রথমত: বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও  প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনা অব্যাহত থাকা মানেই সামগ্রিকভাবে উন্নয়নের চাকা অব্যাহত থাকা এবং দৃপ্তপায়ে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে এগিয়ে চলা। 

দ্বিতীয়ত: আমরা দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ বছর যাবত আপনার দেয়া রাষ্ট্রীয় সম্মান অর্থাৎ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা পেয়ে যথা সময়ে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড না পেয়ে মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছি। আপনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়ে আমরা আশান্বিত হয়েছি যে, আমরা আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ লাভে সক্ষম হলে আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাব। এই প্রত্যাশায় আপনাকে আমাদের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বঞ্চিত শিক্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রিপদ ১ম শ্রেণি (৯ম গ্রেড) দাবির প্রেক্ষিতে আপনি ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে আমাদেরকে বিদ্যমান ১০ম গ্রেডে রেখেই তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ মর্যাদা প্রদান করেন। এর ফলে আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যথাক্রমে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ১২ বছর পুর্তিতে ২০০১ ও ২০০২ খ্রিস্টাব্দের নিয়োগপ্রাপ্ত ১ হাজার ৩১৩ জন সহকারী শিক্ষক ২য় টাইমস্কেল পেয়ে ৭ম গ্রেডে এবং ২০০৫ ও ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগপ্রাপ্ত ১ হাজার ৩২৬ জন সহকারী শিক্ষক ৮ বছর পূর্তিতে ১ম টাইমস্কেল পেয়ে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ৮ম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার কথা।

আমাদের যথাযথ নিয়মে আবেদনের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ শাখা পরিষ্কারভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জাতীয় বেতনস্কেল ২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ৭(২) এবং ৭(৯) এর আলোকে আমাদের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করে। এ নির্দেশনা পাওয়ার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুনরায় অর্থমন্ত্রণালয়কে স্পষ্টীকরণের জন্য চিঠি প্রেরণ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সরকার নি:সন্দেহে শিক্ষাবান্ধব সরকার। আপনার আদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। 

কিন্তু, চাকরি নীতিমালার আলোকে এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে প্রায় ২ হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষক আজ তাদের ন্যায্য পাওনা টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড হতে প্রায় ৬ বছর যাবত বঞ্চিত। যার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও অবহেলিত। এমতাবস্থায়, আপনার একটি আদেশেই খুলে দিতে পারে দুই সহস্রাধিক শিক্ষকদের আকাঙ্ক্ষাপূরণের দ্বার। বর্ণিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করি। আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনায়।

লেখক: আহ্বায়ক, বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটি

[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052108764648438