প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাহুমুক্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রশাসন  

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিার নির্দেশে অবশেষে শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহ রাহুমুক্ত হচ্ছে। অতিদ্রুত বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর এক অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী এমন নির্দেশনা পেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র দৈনিকশিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উইং প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্ত্রীসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ড ও ঢাকার কয়েকটি কলেজের গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন যাবত আঁকড়ে রয়েছেন কয়েকডজন কর্মকর্তা। এই চক্রটি শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল, মাধ্যমিকের জন্য স্বতন্ত্র অধিদপ্তর, স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেয়ার বিরোধীাতা করে আসছে। এই চক্রটিই ঘুরেফিরে শিক্ষাপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে আাসীন। সব কাজের তাদের সরব উপস্থিতি। পক্ষান্তরে আাওয়ামী লীগসহ অন্যান্য প্রগতিশীল মনস্ক কর্মকর্তারা কোনঠাসা।

এই চক্রটি টাকার বিনিময়ে পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র পাওয়ার অনুমোদন, একাডেমিক স্বীকৃতি, এমপিওভুক্তি, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ যাবতীয় অপকর্মে লিপ্ত। চক্রটি শিক্ষা প্রশাসনে নানা ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।এসব কর্মকর্তাদের চলতি সপ্তাহেই বদলি করা হতে পারে। দুএকজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

একটি সংস্থার তথ্যমতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জাতীয়করণের বিরুদ্ধে উসকানি ও বদলি বাণিজ্যে লিপ্ত। সম্প্রতি ২০ দিনের জন্য বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে তার মিরপুরের বাসায় গোপন বৈঠক করেন। ওই কর্মকর্তা একটি শিক্ষাবোর্ডের জামাতপন্থী চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশ সফরে গেছেন।  মন্ত্রণালয়ের অপর একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন উপ-সচিবের বিরুদ্ধেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। একজন  উপ-সচিব ১২ বছর যাবত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মরত। তার বিরুদ্ধে আন্তজার্তিক শিক্ষা মাফিয়াদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিস্থাপনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

অপর এক সূত্রমতে,  কলেজ জাতীয়করণের বিরোধীতায় অর্থ যোগানদাতা ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে জুতা পায়ে প্রবেশ করে আলোচিত শিক্ষা অধিদপ্তরের অধুনালুপ্ত একটি শাখার একজন উপ-পরিচালক চেষ্টা করছেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে পদায়ন নিতে। চাকরি জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি সব লোভনীয় পদে চাকরি করেছেন।

অধিদপ্তরের আরেক উপ-পরিচালক (এইচআরএম) উপ-সচিব হওয়ার তদবির করছেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ –দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপক। ‘খ’ আদ্যাক্ষরের আরেকজন জামাতপন্থী উপ-পরিচালক  বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নেয়াসহ অধিদপ্তরের সব কেনাকাটা ও মালামাল সরবরাহের পার্সেন্টেজ খাচ্ছেন দেদার।

উপ-বৃত্তি প্রকল্পের একজন উপ-পরিচালকের দুর্নীতি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরসহ কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয় গত বছর। প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের পর একটি সংস্থা থেকে অনুসন্ধান চালায়।

মাধ্যমিক শাখার একজন উপ-পরিচালক কয়েকটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে থেকে টাকা তুলে কিছু নিজে রাখেন ও কিছুটা ভাগা দেন মন্ত্রণালয়ের দুইতিনজনকে। রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায়শই বৈঠক করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনলাইনে এমপি বহাল  রাখার পক্ষে দুর্নীতিবাজ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছেন তিনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005479097366333