প্রধানমন্ত্রীর মুখে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ঘোষণা চান শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রধানমন্ত্রীর মুখে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনের পাঁচ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ঘোষণা চান সিনিয়র শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে তারা অবিলম্বে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য বিশেষ অর্থ বরাদ্দেরও ঘোষণা চান। যাতে অবসর ‍ও কল্যাণ সুবিধার টাকার জন্য আবেদন করে বছরের পর বছর অপেক্ষারত প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে একবারে টাকা দেয়া সম্ভব হয়। এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা, আপনি নিজে থেকেই বৈশখী ভাতা চালু করেছেন, কিন্তু তিনটি বৈশাখ অতিবাহিত হলেও আপনার প্রিয় বেসরকারি শিক্ষকরা বঞ্চিত থেকেছে। দিবে, দিচ্ছে এমন কথা শোনা যায় প্রায়ই কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। এ অবস্থার অবসান চাই, আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে আপনার মুখ থেকে বৈশাখী ভাতা ও পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ঘোষণা চাই।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ঘোষণা পেলে শিক্ষক সমাজ অধিকতরো খুশী হবেন বলে মনে করে শিক্ষক সমাজ। দেরিতে হলেও ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। একই সঙ্গে প্রয়োজনের নিরিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।  

অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “অবসর ও কল্যাণের টাকার জন্য হাজার হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাত্র এক হাজার কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিলে সবাইকে একসঙ্গে বকেয়া টাকা দেয়া সম্ভব হয়। আপনার কাছে অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক সমাজের এটাই প্রত্যাশা।”   

বিবৃতিতে বলা হয়, বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি চালুসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সরকার। পাঁচ লাখ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার সরকারি অংশের বার্ষিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা দিয়ে সরকার সবার মন জয় করবে এটাই শিক্ষক সমাজের আশা।

অধ্যক্ষ পরিষদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস, প্রয়োজন ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি ও সর্বোপরি জাতীয়করণ। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067808628082275