প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে বখাটেরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে উপজেলার চরফলকনের আইয়ুবনগর এলাকায় বখাটেরা তার গতিরোধ করে এ ঘটনা ঘটায়। এ সময় ওই ছাত্রীকে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার হুমকি দিলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার সময়ই শেষ হয়ে যায় পরীক্ষা। তাই আর পরীক্ষা দেয়া হয়নি তার।
ভুক্তভোগী তানজিনা আক্তার আইয়ুবনগর এলাকার সেকান্তর মিয়ার মেয়ে। উপজেলার হাজিরহাট সরকারি মিল্লাত একাডেমি থেকে সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।
ছাত্রীটির পরিবার সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, উপজেলার চরফলকন এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে নাইমুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে তানজিনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় নাইমুলের অনুসারী তিন বখাটে ওই ছাত্রীর গতিরোধ করে। এ সময় তারা তানজিনার প্রবেশপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং নাইমুলের সঙ্গে সম্পর্ক না করলে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার হুমকি দেয়। এতে তানজিনা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়। ততক্ষণে পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা দেয়া থেকে বঞ্চিত হয় সে।
তানজিনার বাবা সেকান্তর মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘নাইমুল নামে এক সহপাঠী প্রায়ই তানজিনাকে উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি তানজিনা প্রায়ই আমাকে বলতো। কিন্তু সে আমার মেয়ের এত বড় ক্ষতি করবে এটা আমি কল্পনাও করিনি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
হাজিরহাট সরকারি মিল্লাত একাডেমি কেন্দ্রের সুপার ও তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম জায়েদ বিল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তানজিনা নামে ওই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাটি তারা জানতে পেরে প্রবেশপত্রের ফটোকপি দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ছাত্রীটি অসুস্থ থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।