ডিড অব গিফট সম্পূর্ণ করে সরকারিকরণ হওয়ার পথে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত যদুনাথ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টিতে ভোকেশনাল স্কুল শাখা ও কলেজ শাখা চালু আছে। শুধু পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত কলেজ শাখার জন্য প্রচলিত বিধান অনুসারে সৃষ্ট পদে ননএমপিও ২২জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেন এবং বেতন বোনাস প্রদান করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, সরকারিকরণ হওয়ার জন্য এ পর্যন্ত যতবার তথ্য চাওয়া হয়েছে ততবারই স্কুলটির কলেজ শাখার শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য প্রদান করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর সংশ্লিষ্ট মহলের কিছুসংখ্যক ব্যক্তির নিকট থেকে শুনেছি কলেজ শাখাটি নাকি সরকারিকরণের আওতামুক্ত থাকবে। কারণ হিসেবে বলেছেন স্কুল এন্ড কলেজ নাম নেই, একাডেমিক স্বীকৃতি নেই (একাডেমিক স্বীকৃতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে), ডিড অব গিফটে কলেজের নাম নেই ইত্যাদি।
কিন্তু ইতিপূর্বে সরকারি আদেশ জারি হওয়া ৮টি স্কুল এন্ড কলেজের পাঠদান অনুমতি, একডেমিক স্বীকৃতি নেই তবুও সরকারিকরণ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাহলে স্কুলটির কলেজ শাখার ব্যয়ভার ও শিক্ষকদের বেতন-বোনাস কে দেবেন? প্রতিষ্ঠান দেবে? যতদূর জানি সরকারি হওয়ার পর বেতন-বোনাস দেওয়ার অধিকার থাকবে না প্রতিষ্ঠানটির।
তাহলে কি কলেজ শাখায় কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা বেকার হবেন? এ অবস্থায় যদুনাথ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টির কলেজ শাখার মাত্র ২২ জন শিক্ষক কর্মচারীকে সরকারিকরণের আওতাভূক্ত করে সমস্যাটির সমাধানে দৈনিক শিক্ষাডটকমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের শিক্ষারত্ন, বিশ্ব মানবতার মা, গণতন্ত্রের মানস কন্যা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় সম্মতি প্রার্থনা করছি।
লেখক: রেজাউল করিম সিদ্দিকি, প্রভাষক (ভূগোল) যদুনাথ পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]