আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির ক্যাডেটরা দেশে এবং বিদেশে চাকরি পেতে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে এবং এর পাশাপাশি অনেকেই রয়েছেন বেকারত্বের জীবনে সেখানে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আরও চারটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া মেরিন একাডেমি থেকে কোর্স সম্পন্ন করে বের হয়ে আসা নারী ক্যাডেটদের বেসরকারী শিপিং সেক্টরে নিয়োগের বিষয়টি তেমন বিবেচনায় আনা হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির একটি স্বার্থান্বেষী মহল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরিশাল, রংপুর, সিলেট ও পাবনায় ইতোমধ্যে কাগজে কলমে চারটি নতুন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব একাডেমির নির্মাণ কাঠামো কোন কোন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হলেও ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ নেয়ার মতো কোন সুযোগ সুবিধা গড়ে তোলা হয়নি। এমনকি আন্তর্জাতিকমানের মেরিন প্রফেশনাল তৈরি, যা কিনা আইএসওর (আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থা) বিধিবিধান অনুসৃত হওয়ার কথা এক্ষেত্রে সে রকম কোন প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। নতুন এ চারটি মেরিন একাডেমিতে ৪শ’ ক্যাডেট ভর্তি করানো হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে আরও ১৮০ ক্যাডেট নিয়ে নতুন শিক্ষা কোর্স চালু হচ্ছে।
মেরিন শিপিং সেক্টরের সূত্রগুলো জানিয়েছে, মেরিন একাডেমিতে বর্তমানে প্রয়োজনের অধীন ক্যাডেট ভর্তি এবং প্রশিক্ষণের উচ্চাভিলাসী প্রকল্পটি নিয়ে আগেভাগে আশঙ্কা ব্যক্ত করা হলেও তা মানা হয়নি। এ অবস্থায় নতুন আরও চারটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে স্বার্থান্বেষী কোন মহলের হাত রয়েছে সেটাও ভেবে দেখার দাবি উঠেছে। মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মেরিনার্সদের চাকরির প্রয়োজনে মানহীন একাডেমি চালু করার কোন যৌক্তিকতা নেই। ইতোমধ্যে নতুন চার একাডেমিতে কমান্ডিং এবং ডেপুটি কমাড্যান্টদের পদ দেয়া হয়েছে। এসব পদে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির কয়েক প্রশিক্ষককে ন্যস্তও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলতে হয়, যেসব প্রশিক্ষক মেরিন একাডেমির ১শ’ ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন তারাই নতুন চার একাডেমির ৪শ’ ক্যাডেটকেও প্রশিক্ষণ দেবেন।