পিরোজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর। পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থীদের দেয়া প্রবেশ পত্রে শুক্রবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর সময় উল্লেখ থাকলেও পরীক্ষা শুরু হয়েছে সাড়ে ১১টার দিকে। জেলার সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় এমন সময়ক্ষেপণে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নিয়োগ প্রত্যাশীদের মধ্যে।
জানা যায়, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অধীনে স্থানীয় সরকার শাখার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব পদে ৮ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। প্রবেশ পত্রে পরীক্ষার সময় ছিল শুক্রবার সকাল ১০টা এবং স্থান ছিল পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ে ৬৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন। কিন্তু সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু না হলে উপস্থিত নিয়োগ প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরুর জন্য নিয়োগ কমিটির কাউকে কেন্দ্রে উপস্থিত দেখতে না পেলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষা কেন্দ্রে শুরু করে হৈ-চৈ। এরপরে সোয়া ১১ টার দিকে বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভা.প্রা.) নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী প্রশ্নপত্র নিয়ে তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। এরপরে শুরু হয় নিয়োগ পরীক্ষা।
পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থীরা জানান, জেলা প্রশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা কোcbf কারণে ছাড়া প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্ব হতে পারে না।
এ সময়ক্ষেপণ করার পিছনে কর্তৃপক্ষের অশুভ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি করল সময়ক্ষেপণের পিছনে ছিল তাদের শুভ উদ্দেশ্য। বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ রাখতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগে করা হয়নি।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের নিয়ে পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্তে প্রশ্ন তৈরি করতে সময় লেগেছে। পরীক্ষা কেন্দ্র কোনো বিশৃঙ্ক্ষলা বা অন্য কোনো অভিযোগ তিনি পাননি বলে জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দীন মাঝি জানান, তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রে এসেছেন। কিন্তু নিয়োগ কমিটির কর্মকর্তারা না আসায় পরীক্ষা সময়মতো শুরু হয়নি।