রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্নফাঁস বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ভুল প্রশ্নপত্র থেকেই গেছে। এখনো বিভিন্ন পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন দেখতে পাওয়া যায়। শিক্ষার মান আরও বাড়ানোর জন্য প্রশ্নপত্র নির্ভুল করতে হবে। দায়িত্বশীল শিক্ষক দিয়ে প্রশ্ন করতে হবে। শুক্রবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা আরও বলেন, গত বছরও বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছিল। প্রশ্ন ফাঁসের কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তাদের লেখাপড়ার আগ্রহ কমে গিয়েছিল। কিন্তু এ বছর কোনো পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরে এসেছে। তাই ফলাফলে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এ অধ্যক্ষ বলেন, তবে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এখনো ভুল থেকেই গেছে।
তিনি বলেন, এইচএসসি পদার্থ প্রথম পত্রে পাঁচটি সৃজনশীল প্রশ্নই ভুল ছিল। ভুল প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের সময়ও ক্ষেপণ হয়, দুশ্চিন্তাও বাড়ে। তাই শিক্ষার মান বাড়াতে হলে নির্ভুল প্রশ্ন প্রণয়ন করতে হবে। প্রশ্ন জটিল না হয়ে হতে হবে প্রাঞ্জল। এ ছাড়া পাবলিক পরীক্ষার পূর্বে প্রি-টেস্ট, টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষার অনুমতি না দিলে পাসের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার বাড়ার পাশাপাশি শিক্ষার মানও বাড়বে। তিনি বলেন, কোথাও কোথাও পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করার ধারা এখনো অব্যাহত আছে।
মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার খাতাও মূল্যায়ন হতে হবে যথাযথভাবে।