শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এ বছর প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁস এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর ) সকালে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনও সময় তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবে। চার স্তরের নিরাপত্তাবাহিনী এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সকাল থেকে সারাদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশে নিচ্ছে। তার মধ্যে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬০১ জন ছাত্রী এবং ১২ লাখ ২৩ হাজার ৭৩২ জন ছাত্র। ছাত্রদের থেকে এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ছাত্রী বেশি। দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ছেলে-মেয়ের মধ্যে সমতা এসেছে। বরং এবার ছেলেদের চেয়ে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন বেশি মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ঝরে পড়ার হারও আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তবে এখনও যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে, তাদের ধরে রাখার জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।’
মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকে বলেন, আমাদের শিক্ষার মান বাড়েনি। এটি ঠিক নয়, বরং আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন ও ফল প্রকাশে একটি শৃঙ্খলা আনা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশন সব বার্ষিক পরীক্ষা ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার প্রস্তাব করেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, 'নির্বাচন কমিশনার আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ করার জন্য আহ্বান করেছেন। সিলেবাস অনুযায়ী, সব পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা ১০ তারিখের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ফলে কোনও সমস্যা হবে না।'
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাদরাসা বিভাগ ও কারিগরি শাখার অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন ভুইয়া, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদা প্রমুখ।