প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আসলেই প্রশ্নফাঁস হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যদি প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায় তবে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। রোববার (১৬ জুন) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগগুলো জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। তারা অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছেন।
গত ২৪ মে ও ৩১ মে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ১ম ও ২য় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা, পাবনা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় এ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে। গত ২১ মে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সাতক্ষীরায় ২১ জনকে গত ৩১ মে পটুয়াখালীতে ১৩ জনকে একবছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া দুই ধাপের পরীক্ষাতেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ বা জড়িত থাকার দায়ে আটক হন বেশ কয়েকজন। সেই থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন কিছু প্রার্থী।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের এবং আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রোববার (১৬ জুন)।