প্রশ্নবিদ্ধ প্রশ্ন

ফাতিহুল কাদির সম্রাট |

একটি প্রশ্নপত্র এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে মাতামাতি বেশি। ঢাকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নের নৈর্ব্যক্তিক অংশে বিকল্প উত্তরে দু'জন নারী পর্নো স্টারের নাম এমন এক সময়ে এসেছে, যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র গোটা জাতিকে বিমূঢ় করে দিয়েছে, যৌন লালসায় ছাই হওয়া নুসরাতের মৃত্যুশোক যখন জাতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। একজন শিক্ষক যখন প্রশ্নপত্রে পর্নো তারকার নাম তুলে দেন, তখন অভিভাবকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তানদের যৌন নিগ্রহের আশঙ্কা করতেই পারেন। এই প্রশ্নপত্রটি পেশা হিসেবে শিক্ষকতা কতখানি অবক্ষয়ে নিপতিত হয়েছে, তারই জ্বলন্ত প্রমাণ।

সাধারণ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে একটি প্রশ্নের সঙ্গে চারটি বিক্ষেপক বা বিকল্প উত্তর দেওয়া থাকে। উত্তরগুলো হতে হয় যৌক্তিকভাবে এমন সাদৃশ্যপূর্ণ, যাতে শিক্ষার্থীদের সবগুলো বা একাধিক সঠিক মনে হতে পারে। এর মধ্যে প্রকৃত সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাতেই পরীক্ষার্থীর দক্ষতার যাচাই। তাই একজন মানুষের বাবার নাম কী- এটা প্রশ্ন করে বিকল্প হিসেবে কোনো মহিলার নাম আসতে পারে না। হিন্দু হলে আসতে পারে না মুসলিম কোনো নামও। প্রশ্নপত্রের তিন নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে, 'অ্যাসপেক্টস অব দ্য নভেল' গ্রন্থটি কার লেখা? বিকল্প উত্তর হচ্ছে, ক. বরুণ বারটেল খ. ডোনাল প্যাপো গ. কাজী নজরুল ইসলাম ঘ. এ. এম. ফস্টার। এখানে বিক্ষেপকগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও সাদৃশ্যহীন। শুধু তাই নয়, সঠিক উত্তর হিসেবে ঘ-বিকল্পে যে নামটি এসেছে, তা ভুল। প্রকৃত নামটি হলো ই. এম. ফরস্টার, বিকল্পে আছে এ. এম. ফস্টার।

চার নম্বর প্রশ্নটির বিকল্পগুলো অসঙ্গতিপূর্ণ। প্রশ্নটি এমন, 'প্রমথ চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস কোথায়?' বিকল্পগুলো হলো ক. পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামে খ. ঢাকার বলদা গার্ডেনে গ. যশোরের সরদার বাড়িতে ঘ. কলকাতায়। কী হাস্যকর বিষয়! বলধা হয়ে গেল বলদা এবং তাতে পাওয়া গেল মানুষের নিবাসও। আট নম্বর প্রশ্নটি ছিল 'আম-আঁটির ভেঁপু' কার রচিত? বিকল্প উত্তরগুলো হলো ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় খ. সানি লিয়ন গ. বনফুল ঘ. কবীর চৌধুরী। প্রশ্নের ১০ ও ১৯ নং প্রশ্ন দুটি একই। উভয় প্রশ্নে ভাষা হলো, 'হেমচন্দ্রের বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকাব্য কোনটি?' ১৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে জানতে চাওয়া হয়েছে, 'প্রমথ চৌধুরী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?' এটা চার নম্বর প্রশ্নের রিপিটেশন। ২১ নম্বর প্রশ্নের ভাষা হলো এই, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী?' উত্তর চারটি হলো যথাক্রমে ক. শফিউল চন্দ্র খ. সুবির চন্দ্র গ. মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ. মিয়া কালিফা। উদ্ভট এবং হাস্যকর এই বিকল্প নামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আপত্তিকর নামটিরও বানান ভুল। লেবানিজ এই পর্নো তারকার নাম মিয়া খালিফা, মিয়া কালিফা নয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নামের বিকল্পে মিয়া খালিফার নাম আসা যেমন লজ্জার, তেমনি শফিউল চন্দ্র আসাটা বিস্ময়ের। শিক্ষকের নৈতিকতার পতন, দায়িত্বহীনতা ও পাঠানুধ্যানের সঙ্গে যোগাযোগহীনতার প্রমাণ এটা। এ প্রশ্নপত্রে আছে অনেক ভুল বানান। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে একটি নামকরা স্কুলের প্রশ্নের মান যদি এই হয়, তাহলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল-মাদ্রাসায় কোন ধরনের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়, তা সহজেই অনুমেয়।

সৃজনশীল প্রশ্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্টেম বা উদ্দীপক। উদ্দীপক মূলত পঠিত বিষয়ের সঙ্গে সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ অণুগল্প, যা পঠিত বিষয় ও বস্তুজগতের মাঝে একটি ব্রিজ তৈরি করে। এটি শিক্ষার্থীকে উদ্দীপ্ত করে পঠিত বিষয়ের বিশেষ কোনো দিক নিয়ে ভাবতে, সেইসঙ্গে তাকে বস্তুজগতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে। উদ্দীপকের আরেক নাম দৃশ্যকল্প। দৃশ্যকল্প মানে কল্পনার দৃশ্য। তাই সৃজনশীল প্রশ্নের উদ্দীপক হতে হয় নিটোল, প্রাসঙ্গিক ও গল্পের মতো সুশৃঙ্খল বাণীবিন্যাস সংবলিত। বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ও যৌক্তিকতা ছাড়া সৃজনশীল প্রশ্ন হয় না।

আসলে সৃজনশীল প্রশ্নের সৃজনশীলতা নিহিত প্রশ্নে, উত্তরে নয়। কিন্তু আমাদের স্কুল-কলেজের এমনকি বোর্ড প্রণীত প্রশ্নে এই সৃজনচেতনা থাকে অনুপস্থিত। এ কথা সত্য, সৃজনশীলতা একটি বিশেষ শৈল্পিক দক্ষতা, যাকে সাধারণীকরণের সুযোগ নেই। সমাজে সৃজনশীল মানুষ যেমন হাতেগোনা, তেমনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যেও সৃজনশীলতার গুণ সবার মধ্যে থাকার কথা নয়। তাই মানসম্পন্ন সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরির কাজটি সবাইকে দিয়ে হওয়ার কথা নয়। অথচ সব শিক্ষক দিয়ে এই কাজটি করানো হয়। ফলে সৃষ্টি হয় বিপত্তির। অনেক শিক্ষক গাইড বই থেকে প্রশ্ন তুলে দেন অনেকটা বাধ্য হয়েই। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, যিনি পারেন অর্থাৎ যিনি শিল্পী তিনি আগুন দিয়ে আকাশে আলোর বাগান তৈরি করেন, আর যিনি পারেন না তিনি হাত পুড়ে হাসপাতালে যান। সৃজনশীল প্রশ্নের ক্ষেত্রেও হচ্ছে এমনটাই।

সৃজনশীল প্রশ্ন বলতে আসলে কিছু নেই। পাশ্চাত্যের Structured Question বা কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের বাংলাদেশি সংস্করণ হলো এই সৃজনশীল প্রশ্ন। এই প্রশ্নের কাঠামো সুনির্ধারিত। কাঠামো অনুসারী উত্তরও সুনির্ধারিত। উদ্দীপকের সঙ্গে যুক্ত প্রশ্নগুলো ক-তে জ্ঞান, খ-তে জ্ঞান ও অনুধাবন, গ-তে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগ এবং ঘ-তে জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা ক্রমানুসারে যাচাই করা হয়। প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় দক্ষতার স্তরকেন্দ্রিক আলাদা আলাদা প্যারায়। কিন্তু অধিকাংশ প্রশ্নপত্রে এমনভাবে প্রশ্ন করা হয়, যাতে দক্ষতার স্তরভিত্তিক উত্তর প্রদান করা সম্ভব হয় না। চলমান এইচএসসি পরীক্ষার একটি বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের ১১টি সৃজনশীল প্রশ্নের মধ্যে ৯টিতে 'খ' অর্থাৎ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তরে জ্ঞান ও অনুধাবন দক্ষতাকে আলাদা করে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়। সবগুলো প্রশ্নেই টেক্সট থেকে একটি উক্তি তুলে ধরে বলা হয়েছে- 'ব্যাখ্যা করো' বা 'বুঝিয়ে বলো'। এ ধরনের প্রশ্ন কাঠামোবিরোধী।

কিন্তু এই প্রশ্ন দিয়েই পরীক্ষা হচ্ছে। ওই প্রশ্নপত্রের প্রায় সবগুলো উদ্দীপক অসঙ্গতিপূর্ণ। বক্তব্য অসংলগ্ন, তাতে অভাব সল্ফ্ভ্রমবোধ ও কালগত ধারাবাহিকতার। একটি উদ্দীপক লক্ষ্য করুন, 'শহীদুল দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। বৃক্ষের অক্সিজেন প্রদান, প্রাণিকুলের খাদ্যের জোগান ইত্যাদি শহীদুলের মনে দাগ কাটে। শহীদুল প্রতিজ্ঞা করে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করবে। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করে শহীদুল চলে আসে নিজ গ্রামে। এলাকায় প্রতিষ্ঠা করে দাতব্য চিকিৎসালয়। শহরের চাকচিক্য ও উচ্চ রোজগারের পথ পরিহার করে নিজ এলাকায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকে শহীদুল জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে।

অন্যদিকে তার বড় ভাই ডাক্তার মনিরুল চিকিৎসাকে ব্রত হিসেবে না নিয়ে ব্যবসায় হিসেবে গ্রহণ করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে যায়।' এখানে যৌক্তিক পরম্পরা নেই। প্রথম বাক্যে শহীদুল দশম শ্রেণির ছাত্র। পরে দেখা যায় তিনি একজন ডাক্তার। পরপর তিনটি বাক্যে 'শহীদুল' বিশেষ্যটি আছে। অথচ দ্বিতীয় ও তৃতীয় বাক্যে সর্বনাম পদ 'তিনি' ব্যবহূত হওয়ার কথা। এ ছাড়া উলিল্গখিত ব্যক্তি সম্পর্কিত ক্রিয়াপদে তুচ্ছার্থক 'করে' ও 'আসে' ব্যবহূত হয়েছে, যা মার্জিতি ও সামাজিক সদাচারের বরখেলাপ। তেমনি 'তার' সর্বনামে সল্ফ্ভ্রমাত্মক 'তাঁর' ব্যবহূত হয়নি। প্রথমে সমাসবদ্ধ শব্দ হিসেবে 'চিকিৎসাশাস্ত্র' একশব্দ রূপে লেখা হলেও পরেই লেখা হয়েছে আলাদা করে 'চিকিৎসা শাস্ত্র'। এ ধরনের প্রশ্ন আর যা-ই হোক সৃজনশীলতার চেতনাকে ধারণা করে না।

বাংলা দ্বিতীয়পত্রে সৃজনশীল প্রশ্ন নেই। কিন্তু এখানেও এমনসব প্রশ্ন করা হয়, এমনকি বোর্ড প্রশ্নেও, যা রীতিমতো বিব্রতকর। একবার খাতা দেখতে গিয়ে এক ছাত্রের উত্তরে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। সেই ইঁচড়েপাকা ছাত্রটি খোদ প্রশ্নকে দাঁড় করিয়েছিল কাঠগড়ায়। প্রশ্নে জন্মদিনে বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি খুদেবার্তা বা এসএমএস লিখতে বলা হয়েছিল। সে লিখেছে, 'শুভ জন্মদিন বন্ধু।' তার উত্তর সঠিক। কিন্তু প্রশ্নের মান ১০। তিনটি শব্দের জন্যে ১০ মার্ক দেওয়াও যায় না। সত্যি, বাংলা দ্বিতীয়পত্রে এসএমএস লেখা বাবদ ১০ মার্ক বরাদ্দ। অথচ আমরা জানি, এসএমএসে ১৬০টির বেশি বর্ণ বা ক্যারেক্টার লেখা যায় না। তাহলে এর বাবদ দশ নম্বর কীভাবে বরাদ্দ হতে পারে? আরেকটি প্রশ্ন ছিল ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখার ওপর।

সেই শিক্ষার্থী উত্তরে লিখেছে, সে কখনও ঢাকা শহরে যায়নি, তার পক্ষে তাই এই প্রতিবেদন লেখা সম্ভব নয়। আরেকটি প্রশ্ন ছিল- 'তোমার কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান নিয়ে একটি অভিজ্ঞতা লেখ।' সে উত্তরে লিখেছিল, 'আমার কলেজে কখনও নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয় না। শুনেছি ছাত্রনেতাদের চাঁদাবাজির জন্য অধ্যক্ষ করতে পারেন না।' আরেকটি প্রশ্নে দিনলিপি লিখতে বলা হয়েছিল একটি বিজ্ঞান মেলা পরিদর্শনের ওপর। ছাত্রটি তার এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থাকে খোঁচা মেরে উত্তরে লিখেছিল, এখানে আবার বিজ্ঞান মেলা? ভালোই! প্রশ্নে কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে কেরানি পদে চাকরির জন্য দরখাস্ত লিখতে বলা হয়েছিল। সে উত্তরে রসিকতা করে লিখেছিল, বিএ-এমএ পাস করে মানুষ চাকরি পায় না, আমি তো সদ্য এসএসসি পাস। আমাকে চাকরি কে দেবে? তাছাড়া আমি জীবনে কেরানি পদে চাকরি করবই না।

প্রশ্ন নিয়ে এই প্রশ্নগুলো সত্যি যৌক্তিক। মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্যে মানসম্পন্ন প্রশ্ন চাই। কিন্তু মানের বদলে প্রশ্ন নিয়ে আছে কেবল প্রশ্ন।

 

লেখক:  সহযোগী অধ্যাপক, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, লক্ষ্মীপুর

 

সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024130344390869