রূপনগরের কামাল আহম্মেদ মজুমদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার মুক্তি। স্কুলের শাপলা নামের একজন শিক্ষিকার বাসায় প্রাইভেট পড়তো। গত জুনে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে সে। একারণে স্কুলে তার উপর নির্যাতন করা হয়। আর সেই নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে মুক্তির ভাই আল আমিনকে।
শনিবার (৬ জুলাই) ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন আল-আমিন। তিনি বলেন, প্রাইভেট পড়া বন্ধ করার পর শিক্ষিকা শাপলা ২০ দিনের বেতন পেতেন। এই টাকা না দেয়ায় ২৭ জুলাই মৌমিতা নামে এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে ওই শিক্ষক আমার বোন মুক্তিকে মারধর করায়। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। এরপর তাকে স্কুলের দুটো পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি।
আল আমিন অভিযোগ করেন, স্কুলে গিয়ে ঘটনার বিচার না পেয়ে মানববন্ধন করবো বলে ঘোষণা দেই। তখন গভর্নিং বডির সদস্য সুইটি আক্তার শিনু আমাকে নিয়ে রূপনগর থানায় যান। সেখানে পুলিশের সহায়তায় নির্যাতন চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেন আল আমিন। জানান, সেখানে সুইটির পা ধরে মাফ চাওয়ানো হয়েছে। পরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এখন বিষয়টি সুরাহার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আল-আমিন ও তামান্নার বাবা মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন। এব্যাপারে পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার এবং মিরপুর বিভাগের ডিসি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুইটি আক্তার শিনু। তিনি বলেন, এসব অভিযোগ বানোয়াট। এটা স্কুলের ব্যাপার, ছাত্রীর সঙ্গে ছাত্রীর মারামারি হয়েছে। আপনারা স্কুলে আসেন, সবার সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট করেন। এ বিষয় নিয়ে যখন তারা আমার কাছে আসে, তখন ছেলেটির (আল-আমিন) সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়, একপর্যায়ে সে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি পুলিশে ফোন দিলে, পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। আমার এক মামার অনুরোধে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করিনি।