চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এদের মধ্যে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন পরীক্ষার্থী ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষারসংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার রুটিন
আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। প্রতিদিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। তবে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবেন। প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে ৬ বিষয়ে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, সারাদেশে ৭ হাজার ৪৫৮ টি কেন্দ্রে ইবতেদায়ি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ হাজার ৯৩১ টি কেন্দ্র এবং হাইস্কুল ও মাদরাসায় ৩ হাজার ৫২৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া আটটি দেশের ১২টি কেন্দ্রে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন। অপরদিকে ছাত্রী সংখ্যা ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন। এদিকে, ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ৩ লাখ ৩০ হাজার ৩৭১ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন। গত বছরের তুলনায় এবার ৩০ হাজার ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ হাজার ৩৪৭ জন এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৪ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যেই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে। প্রশ্ন থানা বা ট্রেজারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে প্রশ্নপত্র উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। দুর্গম এলাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলায় পরীক্ষা পরিদর্শনের জন্য ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো . জাকির হোসেন, গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির উপস্থিত ছিলেন।