সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৩৬ হাজার টাকা করে বেতন পান বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। শনিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত টকশোতে এ মন্তব্য করেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনের কথা জানান। এছাড়াও তিনি প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যা, সম্ভাবনা ও সমাধান নিয়ে কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘যদি শিক্ষকরা হারাম খায়। এতো টাকা বেতন পেয়েও যদি ওই কেজি স্কুলটার সাথে না পারে.....। কেজি স্কুলের শিক্ষকরা পায় ৩ হাজার টাকা বেতন আর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা পায় ৩৬ হাজার টাকা বেতন, আপনি ধরে নেন। তাইলে এ টাকাগুলো হালাল হবে নাতো।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তাদের সন্তান মানুষ হবে না যারা শিক্ষায় ফাঁকি দেবে। যিনি আদর্শ শিক্ষক তার সন্তান মানুষ হবে। তার স্কুলের ছাত্ররা তাকে আজীবন সম্মান করবে।
তিনি আরও বলেন, সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের বিকল্প নেই। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতির পক্ষে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। আর শিক্ষার প্রথম ধাপ প্রাথমিক শিক্ষা।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন,আমাদের প্রতিবন্ধকতা আছে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো আছে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করতে পেরেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে জাতিকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে অনেক দূর এগিয়েছি, জাতি অনেকদূর এগিয়েছে। আমরাও মানসম্মত শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশে যাবো। সোনার বাংলাদেশ করতে চাই।
বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুলে ঝটিকা সফর নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমার কর্তব্য। আমার শিক্ষকরা কি করছে, ছেলে-মেয়েরা কি করছে। সফরে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সুখ, দুঃখের সাথে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছি। তাদের সঙ্গে মিশেছি। এতে তারা খুব আনন্দ পায় এবং এই সফরের সুফল পাচ্ছি। যারা ফাঁকিবাজ তারা সব সময় ফাঁকিবাজ, যারা ভালো তারা আনন্দ পায়। আমাকে পেয়ে ছাত্র ছাত্রীরাও অনেক খুশি হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অভিভাবকরা ভাবেন অমুকের ছেলে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ছে, আমার ছেলেকেও দিবো। প্রাইমারির দিকে আর কারও মনযোগ নেই।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব চাকরিতে প্রমোশন থাকা দরকার। উপরে যাওয়ার একটা প্রতিযোগিতা থাকা দরকার। কিন্তু এখানে সেটা নেই। আমরা চাচ্ছি এই নিয়মের পরিবর্তন হোক। মন্ত্রণালয়ে তাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সহকারী শিক্ষককে সহকারী প্রধান, সহকারী প্রধানদের প্রধান শিক্ষক করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।