আখাউড়ায় পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অন্যদের দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার (প্রক্সি) অভিযোগে ১৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ১ শিক্ষার্থীকে দুই স্কুলে ভর্তির দায়ে বহিষ্কার করা হয়। প্রক্সি দিতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও দুই স্কুল শিক্ষিকাকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে গণিত পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে।
জানা যায়, ওই কেন্দ্রে উপজেলার মনিয়ন্দ এলাকার সাতটি আনন্দ স্কুলের ৩৮ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৮ জনের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আরেক শিক্ষার্থী একই সঙ্গে দুই স্কুলে ভর্তি ছিল। বিষয়টি জেনে ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার রেইনা, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেন। প্রথমে প্রক্সি দেয়ানো ১৮ শিক্ষার্থী ও একই সঙ্গে দুই স্কুলে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বিকালে প্রক্সি দিতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবককে ডেকে এনে তাদের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া সাথী আক্তার ও পপি আক্তার নামে দুই শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
কেন্দ্র সচিব ও তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম জানান, খোঁজ নিয়ে দুটি কক্ষে ১৯ জন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায় যারা প্রক্সি দিচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।