প্রাথমিক সমাপনীতে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এ বছর থেকে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক বা কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেবে সরকার। উন্নত দেশের structured question বা কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন পদ্ধতি বাংলাদেশে সৃজনশীল প্রশ্ন হিসেবে পরিচিত।

২০১৮ খ্রিস্টাব্দের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন করে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আদেশ জারি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। প্রাথমিকের পরীক্ষার প্রশ্নসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় দেখভাল করে নেপ। নেপের কার্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত।

নেপের মহাপরিচালক শাহ আলম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, “২০১৮ খ্রিস্টাব্দের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জাতীয় কর্মশালার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতি বিষয়ে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন হবে।”

প্রাথমিক সমাপনীতে সৃজনশীল প্রশ্নের হার গত কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে বাড়াছিল সরকার। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ৮০ শতাংশ এবং ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতি বিষয়ে ৬৫ শতাংশ প্রশ্ন যোগ্যতাভিত্তিক ছিল, বাকি প্রশ্ন ছিল ট্রাডিশনাল।

২০০৯ খ্রিস্টাব্দে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছিল।

২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ২৫ শতাংশ, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ৩৫ শতাংশ এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ৫০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা হয়।

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে এই পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।

এবার থেকে প্রাথমিক সমাপনীর সবগুলো প্রশ্ন শতভাগ সৃজনশীল হলেও পরীক্ষার সময় আগের মতই আড়াই ঘণ্টা রাখা হয়েছে।

২০১৭ খ্রিস্টাব্দে এইচএসসিতে ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। আর চলতি এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হচ্ছে।

অন্যদিকে জেএসসিতে গত বছর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।

সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার ফলে পাবলিক পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা কমার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করে উত্তর লেখার দক্ষতা বাড়ছে বলে দাবি করে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067901611328125