প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড প্রদান করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সিঙ্গাপুরে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে—‘যদি অর্থনীতিতে উদীয়মান বাঘ্র হতে চাও তবে প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ কর।’ এই কথাটি শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবে প্রয়োগ করেছিল বলে আজকে সিঙ্গাপুর এত উন্নত। সিঙ্গাপুরের মাত্র ছয় বছর পরে আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও আমরা সিঙ্গাপুরের চেয়ে এখনো অনেক পিছিয়ে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন মাহফিজুর রহমান মামুন।

প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের দেশ অনেক কম বিনিয়োগ করে বলে মানসম্মত বেতন দিয়ে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় না। ফলাফলস্বরূপ মেধাবীরাও প্রাথমিক শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট হয় না। তারপরও যেসব মেধাবী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন, তাঁরাও পেশা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও কর্মরত মেধাবী শিক্ষকদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন না করার কারণে আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিতমানে উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রাথমিকে পাঠদানের গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকগণ; অথচ তাঁদের বেতন-পদমর্যাদা এত নিম্নমানের যে তাদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আর্থিক অসচ্ছলতা থাকার কারণে সহকারী শিক্ষকরা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পাঠদানে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে বিলিয়ে দিতে পারেন না। অনেকে বাধ্য হয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশির বিকল্প পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। তাছাড়া এত নিম্ন বেতনে মেধাবীরা কখনো প্রাথমিক শিক্ষক হতে চাইবেন না। অথচ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য মেধাবী সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।

তাই কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ এই যে, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য দ্রুত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ১১তম গ্রেড প্রদান করে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হোক। এতে মেধাবীরা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক হতে উৎসাহিত হবেন এবং কর্মরত মেধাবী শিক্ষকরাও যথাযোগ্য মূল্যায়ন পেয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য নিজেদের বিলিয়ে দেবেন।

লেখক : সহকারী শিক্ষক, পঞ্চগড়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046291351318359