বিভিন্ন রকমের ছুটিজনিত কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট লেগেই থাকে। যা মানসম্মত শিক্ষার অন্তরায়। এ সমস্যা সমাধানে নির্ধারিত পদের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রস্তাবনা তৈরি করে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রস্তাবনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অনুমোদন পেলেই বাস্তবায়ন শুরু হবে। রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে, কতিপয় সংবাদমাধ্যম রোববার (১৮ আগস্ট) এ চিন্তা-ভাবনার বিষয়টিকে সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রচার করেছে, যা বিভ্রান্তিকর। প্রাথমিক এ প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো ও সরকারে উচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে তবেই নানা ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব আকরাম-আল-হোসেন রোববার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছুটিতে থাকায় অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। তাদের শূন্যতা পূরণে সারাদেশে শিক্ষকদের সৃষ্ট পদের রাজস্ব খাতভুক্ত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। ২০ শতাংশ হিসাবে অতিরিক্ত কতজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন তা উল্লেখ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। এ প্রস্তাবনা পাওয়ার পর তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদনের পর এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অনুমোদন নেয়া হবে। প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
জানা গেছে, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ও মেডিকেল ছুটি, নারী শিক্ষকদের মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা অনুপস্থিত থাকেন। এ কারণে পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা দূর করতে বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সৃষ্ট পদের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। বর্তমানে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রস্তাবনা তৈরি করবে।
জানতে চাইলে দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষাসচিব মো: নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিক্ষক সংকট কাটাতে এমন পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক ও সাহসী উদ্যোগ। নানা ধাপ পেরিয়ে এটা যদি সত্যিই বাস্তবায়ন হয় তবে, তা হবে যুগান্তকারী ঘটনা।’
বাস্তবে দেখা গেছে, নতুন পদ সৃষ্টি ও সেখানে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ বিষয়। আশাকরি গণশিক্ষা সচিবের এ উদ্যোগ সফল হবে।