বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমূল পরিবর্তন এসেছে। যুক্ত হয়েছে মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিভিন্ন খেলাধুলার উপকরণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে বিদ্যালয়ে। শিক্ষকদের বেতনমান কিছুটা হলেও সম্মানজনক। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় শত ভাগ মিডডে মিল চালু হয়েছে।
মিডডে মিলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শিক্ষার্থী, শিক্ষক একই সঙ্গে বিদ্যালয়েই দুপুরের খাবার খাবেন। অথচ টিফিন সময় মাত্র ৩০ মিনিট। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে খাওয়া এবং বিশ্রাম নিতে হয় যেটা এত কিছুর জন্যে যথেষ্ট নয়। শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা চর্চার সুযোগ থাকলেও সময় কোথায়? অপরদিকে শিক্ষকদের খাওয়া, জোহরেরর নামাজ ও বিশ্রামের জন্য মাত্র ৩০ মিনিট খুবই অপ্রতুল। তাছাড়া শিক্ষকদের টিফিন ভাতা মাসিক মাত্র ২০০ টাকা। যা অত্যন্ত লজ্জাকর। একই স্কেলে অন্য বিভাগে যারা চাকরি করেন তাদের একদিনের টিফিন ভাতা ২০০ টাকার বেশি প্রদান করা হয়। মাত্র ৬ দশমিক ৬৬ টাকা দিয়ে বর্তমান বাজারে এক কাপ চা ও একটি পানও পাওয়া যায় না। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতিদিন টিফিন ভাতা দেওয়া হয় ৬ দশমিক ৬৬ টাকা। তাই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মানসিক ও শারীরিক দিক বিবেচনায় শিক্ষা পরিবারের স্বার্থে টিফিন সময় এবং টিফিন ভাতা বর্ধিত করা এখন সময়ের দাবি।
লেখক: প্রধান শিক্ষক, মৌলভীর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]