আগৈলঝাড়ায় বিদ্যালয়ের জমি দাতাই দখলদার হয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রধান শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ছোট ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা খানম জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় স্থানীয় আবদুল আলী খান, বাদশা খান ও ছত্তার খান বিদ্যালয়ের নামে ৫২ শতক জমি দান করেন। বাদশা খান দাতা হিসেবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতেও দীর্ঘদিন ছিলেন। বাদশা খান ৫২ শতক জমি দান করলেও তিনি কমিটিতে থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের নামে বর্তমান মাঠ জরিপে ৩৪ শতক জমি রেকর্ড হয়।
এদিকে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বাদশা খান ওই জমির একটি অংশে দোকান ঘর নির্মাণ করে স্থানীয় আবিদ হাসান ও মনির কাজী নামে দুই জনের কাছে ভাড়া দিয়ে আসছেন। ওই বিদ্যালয়ের সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ১৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। অনুমোদিত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সেখানে অবৈধ দখলদার হিসেবে বাধা দেন বাদশা খান। ফলে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা খানম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিদ্যালয়ের জমি অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান বলেন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে স্কুল কমিটির সভায় অবৈধ দখলদারদের স্কুলের জায়গা ছাড়তে বলায় তারা তাতে সারা না দেয়ায় আইনগতভাবে আগানো হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল হক তালুকদার বলেন, অভিযোগের কাগজ সুপারিশসহ নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, শিগগিরই তিনি সার্ভেয়ার দিয়ে বিদ্যালয়ের জায়গা মেপে সীমানা নির্ধারণ করবেন। সেখানে কোনো অবৈধ দখলদার থাকলে তা উচ্ছেদ করে বিদ্যালয়ের জায়গায়ই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।