প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ‘বছর বিড়ম্বনার’ সমাধান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিটে কোন বছর পূরণ করতে হবে তা নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পরীক্ষায় বছর পূরণের জন্য শূন্যস্থানে ২০১৮ লিখবেন নাকি ২০১৯, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে। এ সমস্যাটির কথা জানিয়ে দৈনিক শিক্ষায় ইমেইল ও ফোন করে অনেকেই সঠিক বছর কোনটি হবে তা জানতে চান।

প্রার্থীরা বলেন, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অনেকেই শূন্যস্থানে ‘২০১৯’ লিখছেন। কক্ষ পরিদর্শকরাও এ ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন। লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনায়ও ২০১৯ লেখার কথা বলা হয়েছে প্রার্থীদের। তবে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে  ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮' বলে উল্লেখ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তাই, ওএমআর শিটে কোন বছর উল্লেখ করবেন, তা নিয়ে প্রার্থীদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

তবে, লিখিত পরীক্ষার সনের স্থানে কোনো প্রার্থী ভুল করলে অসুবিধা নেই বলে সোমবার (১৭ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ দৈনিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উত্তরপত্র মূল্যায়নে সনের এ অংশটি কম্পিউটার রিড করবে না। তাই এ অংশে ভুল করলেও অসুবিধা নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বিষয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত সব আদেশ ও বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮' বলে উল্লেখ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 

অনেক প্রার্থী টেলিফোন ও ইমেইলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে অভিযোগ করেন, ১ম ও ২য় ধাপের লিখিত পরীক্ষায় বছরের শূন্যস্থানে ২০১৮ নাকি ২০১৯ লিখেবেন তা বুঝতে পারছিলেন না তারা। এ বিষয়ে কেউ বলছে ২০১৮ লিখতে আবার কেউ বলছে ২০১৯ লিখতে। ১ম ও ২য় ধাপের পরীক্ষায় অনেক প্রার্থী ওএমআর শিটের বছরের শূন্যস্থানে ২০১৯ পূরণ করেছেন বলে জানান দৈনিক শিক্ষাকে। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনায়ও ২০১৯ লিখতে বলা হয়েছে।

এ অংশে ভুল করলে কোনো সমস্যা হবে কিনা, সে বিষয়েও জানতে চাইছেন প্রার্থীরা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাকে জানান, ‘শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়েছে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে। পরীক্ষা নিতে আমাদের একটু দেরি হয়েছে। তাই, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিটে ‘২০১৮ লিখতে হবে। তিনি আরও জানান, তবে কোনো প্রার্থী যদি ওএমআর শিটে সনের শূন্যস্থানে ভুল করেন তাহলেও অসুবিধা নেই। ওএমআর এর ঐ অংশটি কম্পিউটার রিড করবে না।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ৪ ধাপের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ১ম দফায় প্রকাশিত সময়সূচিতে এ প্রক্রিয়াকে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮’ বলে উল্লেখ করা হয়। জেলা ওয়ারী পরীক্ষার সূচিতেও এমনটা বলা হয়েছিল। এরপর গত ১৬ মে শিক্ষক নিয়োগের শেষ দুই ধাপের সময় পরিবর্তন করা হয়। এ আদেশেও এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায়কে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮’ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। জেলা ওয়ারী সংশোধিত সূচিতেও তাই বলা হয়েছে। গত ২ মে প্রকাশিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতেও এমনটা উল্লেখ করা হয়।

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রথম দুই ধাপের পরীক্ষা গত ২৪ ও ৩১ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২১ জুন ৩য় ধাপের এবং আগামী ২৮ জুন ৪র্থ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031569004058838