প্রাথমিকে ৬১ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষকের পদ সৃজন করা হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) প্রথম যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানানো হয়।

পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেনের সভাপতিত্বে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা পাঁচটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার ছিল সমাপনী সভা।

যৌথ বার্ষিক পর্যালোচনা সভার এ কর্মসূচিতে গত এক বছরে হাতে নেয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করা হয়। এতে খাতওয়ারি পর্যালোচনা, ষাণ্মাসিক পর্যালোচনা, হিসাব নিরীক্ষণ পর্যালোচনা, পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় বলা হয়; পিইডিপি-৪ প্রকল্প যথাযথ গতিতে এগিয়ে চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই) কর্মসূচিতে পূর্ত, অবকাঠামো ও প্রকৌশলগত সহযোগিতা করছে।

পর্যালোচনা সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের প্রশাসনিক বিভাগের আলোচনায় জানা যায়, কর্মসূচির আওতায় চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছর ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষকের পদ সৃজন করা হবে। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের আলোচনায় জানা যায়, গত অর্থবছর (২০১৮-১৯) সারাদেশে দুর্যোগকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২৩টি বিদ্যালয়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছর তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ বিদ্যালয় পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষসমূহে ২৬ হাজার আইসিটি প্যাকেজ বিতরণ করবে।

পর্যালোচনা সভায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির পাঁচটি বিষয় নিয়ে গ্রুপ ডিসকাশন হয়। এগুলো হচ্ছে- প্রাথমিক শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ, ন্যায়সঙ্গত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন, অর্থ ও ক্রয় ব্যবস্থাপনা এবং সুষ্ঠু সমন্বয় ও অংশীদারিত্ব।

সমাপনী বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি সবার সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে। এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্যই হলো প্রি-প্রাইমারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিশুর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ। 

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর মেয়াদি চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি সরকারের নেয়া প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সর্ববৃহৎ উদ্যোগ। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে কর্মসূচিটি শুরু হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর দ্বারা বাস্তবায়ন করছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002892017364502