সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা গ্রহণের সব অনুষ্ঠানিকতা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত দুইধাপের পরীক্ষায় আশা ‘প্রশ্নফাঁসের অভিযোগগুলোর’ প্রেক্ষিতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র।
জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার সদর, জাজিরা, ডামুড্যা, মাদারীপুর জেলার শিবচর, কালকিনি, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা, মধুখালী, নরসিংদী জেলার সদর, পলাশ, শিবপুর, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলার সদর, ঘাটাইল, সখিপুর, গোপালপুর, বাসাইল, দেলদুয়ার, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর, কুলিয়ারচর, ইটনা, মিঠামইন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সব উপজেলা, শেরপুর জেলার সব উপজেলা, রাজবাড়ী জেলার উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, মহেশখালী, রামু, চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, কুলাউড়া, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, মাধবপুর, চুনারুঘাট, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, জগন্নাথপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, দক্ষিণ সুরমা, পিরোজপুরের কাউখালী, নাজিরপুর, মঠবাড়িয়া, ইন্দুরকানী, পটুয়াখালী জেলার বাউফল, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, রাঙাবালি, সাতক্ষীরা কলারোয়া, কালিগঞ্জ, নাটোর জেলার নলডাঙ্গা, লালপুর, বাগাতিপাড়া, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা, ডিমলা, লালমনিহাট জেলা উপজেলা এবং ঠাকুরগাঁও জেলার সব উপজেলায় আগামীকাল ২১ জুন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মোট এক ঘণ্টাব্যাপী ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ৪ ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ২৪ ও ৩১ মে নিয়োগের ১ম ও ২য় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে, এ দুই ধাপের পরীক্ষাতেই সাতক্ষীরা, পাবনা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে। গত ২১ মে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সাতক্ষীরায় ২১ জনকে গত ৩১ মে পটুয়াখালীতে ১৩ জনকে একবছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া দুই ধাপের পরীক্ষাতেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ বা জড়িত থাকার দায়ে আটক হন বেশ কয়েকজন। সেই থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন কিছু প্রার্থী।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ জুন চতুর্থ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।