মোবাইল ফোনে পরিচয় ও প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিকার সাথে এক কলেজছাত্রের দেখা করা নিয়ে রোববার (২৬ মে) গভীর রাতে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার হারুগাতি গ্রামে ঘটেছে লংকাকাণ্ড। রাতভর গ্রামটিতে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ও উত্তেজনার পর সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইউএনবি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানান, রাজশাহী কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ধোপাপাড়া গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে হায়দার আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পুঠিয়ার হারুগাতি গ্রামের বাসিন্দা সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর।
এর সূত্র ধরে রোববার রাত ১১টার দিকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে হারুগাতি গ্রামে যায় প্রেমিক হায়দার আলী। এসময় তার দুই বন্ধু নাদিম মোস্তফা ও রবিন হোসেনও তার সঙ্গে ছিল।
প্রেমিকা ছাত্রীর বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, দেখা করতে এসে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হায়দার আলী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। এসময় তার দুই বন্ধু পাশের বাজারে অপেক্ষায় ছিল। তবে, ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয়রা হায়দারসহ তার দুই বন্ধুকে আটকে রেখে পিটুনি দেয়।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিতে যেতে চাইলে গ্রামবাসী বাধা দেয়। সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিচার হবে বলে জানায়। এ নিয়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে মসজিদের মাইক থেকে পুলিশকে প্রতিহত করতে গ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত গ্রামের লোকজন পুলিশের গাড়ির হাওয়া ছেড়ে দিয়ে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় গ্রামবাসী নারী পুলিশ সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
পরে ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আহত হায়দারকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মেয়েটির বাবা ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকেও আলাদা মামলা হবে।