প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন ইডেন কলেজছাত্রী। রোববার (২১ এপ্রিল) সিলিং ফ্যানের সাথে ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নিহত সায়মা কালাম মেঘা ইডেন কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। বিগত ৩ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইডেন কলেজ ছাত্রী ঝালকাঠির সায়মা কালাম মেঘা এবং বরিশাল হাতেম আলী কলেজ ছাত্র ঝালকাঠির মাহিবি হাসানের। প্রেমের এক পর্যায়ে তারা পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে তা নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে ভিডিও কল রেখেই আত্মহত্যা করে মেঘা।
এ ঘটনায় কন্যা হত্যার বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করেন মেঘার পরিবার। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেঘার চাচা আবুল বাশার। এ সময় মা রুবিনা আজাদ, পিতা আবুল কালাম, চাচাতো ভাই মাইনুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, মেঘা আর মাহি পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে বাধ সাধে মাহির মা সেলিনা বেগম। তিনি কোনোমতেই এ বিয়ে মানতে নারাজ, তাই পুত্রও শুরু করে তালবাহানা। একাধিকবার বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করে আবার পরিবর্তন করে প্রতারণার নতুন কৌশল শুরু করে। এসব বিষয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হলে রোববার বিকেলে প্রেমিকের প্ররোচনায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মেঘা। মাহি ভিডিও কলে তা উপভোগ করে। নিজ ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানে মেঘা। এরপর সহপাঠী আফরিন জাহান ও মেঘার মা রুবিনা আজাদকে মাহি ফোন দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। মেঘার মা বিষয়টি ঢাকায় মেঘার বান্ধবী আফরিন জাহান আনিকাকে জানালে আনিকা কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়ে কাঁঠালবাগানের বাসায় যায়। তারা বাসায় গিয়ে বাড়ির মালিকের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মেঘাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা মেঘাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার কাঁঠালবাগান এলাকার ৭৪/১ ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মেঘার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার রাতেই কলাবাগান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে নিহতের চাচা আবুল বাশার।