পড়া না পারায় মাদরাসাছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি |

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাংলা পড়া বলতে না পারার কারণে তানভির (১০) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কটিয়াদী পৌরসভার পূর্বপাড়া মহল্লার নূরুল কোরআন কওমি মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ছেলেকে মাদরাসায় নির্যাতনের খবর পেয়ে অভিভাবক দেখা করতে গেলেও শিক্ষক দেখা করতে দেননি তানভিরের সঙ্গে। তিনদিন পর ছাত্রের মা অনেক আকুতি-মিনতি করে মাদরাসা থেকে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করান।

বুধবার ঘটনার বিচার চেয়ে ছেলের বাবা মজিবুর রহমান বাচ্চু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সূত্র জানায়, কটিয়াদী পৌর সদরের পূর্বপাড়া মহল্লার নূরুল কোরআন কওমি মাদরাসার আবাসিক ছাত্র তানভির গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলা পড়ার উত্তর দিতে না পারার কারণে মাদরাসা শিক্ষক আবু সাঈদ বেদম বেত্রাঘাত করেন। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ব্যথা ও জ্বরে কাতর হয়ে পড়ে থাকলেও তাকে সারাদিন কোনো চিকিৎসা দেয়া হয়নি এবং তার অভিভাবককেও খবর দেয়া হয়নি।

অন্যান্য ছাত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশুটির অভিভাবক দেখা করতে মাদরাসায় গেলে তাদের দেখা করতেও দেয়া হয়নি। ঘটনার একদিন পর মাদরাসাশিক্ষক রাতের বেলা অসুস্থ তানভিরকে হাসপাতালে নিয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করান। এ সময় তানভির হাসপাতালের সামনে তার চাচার দোকানে দেখা করতে চাইলেও তাকে দেখা করতে না দিয়ে মাদরাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনদিন পর শিশুটির মা মাদরাসা থেকে অসুস্থ ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যান।

ছাত্রের বাবা মজিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, পড়া না পারার কারণে একটি অবুঝ শিশুকে এমন অমানবিক নির্যাতন করতে পারেন না শিক্ষক। আমি এর বিচার চাই।

মাদরাসা প্রধান মাওলানা সিরাজুল হক বলেন, বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য তানভিরের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। অভিভাবকদেরকে ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি বিষয়টি সত্য নয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054631233215332