প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক জায়গায় দেখি ক্লাস ওয়ানে ভর্তির জন্য ছাপানো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়। আমার প্রশ্ন, তারা সবকিছু শিখেই যদি স্কুলে যাবে, তাহলে স্কুলে গিয়ে কী শিখবে? এই প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে। শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবে শিখতে, তারা তো আগে থেকেই পড়ে আসবে না।
বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আমি এটুকুই বলবো, কোনোমতেই যেন কোমলমতি শিশুদের কোনও অতিরিক্ত চাপ না দেয়া হয়। তাহলেই দেখবেন তারা ভেতরে একটা আলাদা শক্তি পাবে। আর তাদের শিক্ষার ভীতটা শক্তভাবে তৈরি হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই ৭ বছরের আগে শিশুদের স্কুলে পাঠায় না। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা স্কুলে যায়। কিন্তু তারা যেন হাসতে খেলতে মজা করতে করতে পড়াশোনাটাকে নিজের মতো করে করতে পারে সেই ব্যবস্থাটাই করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। এরই মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকও চালু করেছি। কিন্তু শিশুদের শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত চাপ দেয়া উচিত নয়। কিন্তু অনেক দেশ আছে, যেখানে ৭ বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো হয়, তার আগে নয়। চাপ দিলে শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ কমে যাবে, ভীতি তৈরি হবে। তারা যেন খেলতে খেলতে, হাসতে হাসতে নিজের মতো করে শিখতে পারে পড়ালেখার এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। কোনোরকম ভীতি যেন শিশুদের মধ্যে তৈরি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পড়ালেখা নিয়ে শিশুদের চাপ দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)
তিনি বলেন, শিক্ষাকে শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করতেই ডিজিটাল পদ্ধতি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুদের যেন কেবল বই পড়েই শিখতে না হয়, তারা দেখেও শিখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করবো। যেন তারা খেলতে পারে। দেশি খেলার যেন চর্চা করতে পারে। প্রত্যেকটি স্কুলে শরীর চর্চা করা সার্বজনীন করে দিচ্ছি। স্কাউটিং এর মাধ্যমে ছেলেমেয়েরা ডিসিপ্লিন শেখে। প্রত্যেকটা বিদ্যালয়ে যেন স্কাউট থাকে তার জন্য আমরা কাজ করছি।