অসুস্থতার জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বা অংশগ্রহণ করতে না পারা শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইতিমধ্যে বোর্ডের অধীনস্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণে বা শারিরিক অসুস্থতার জন্য কোন পরীক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে বা পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে অভিভাবকের লিখিত আবেদন ও প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার সন্তোষজনক ফলের ভিত্তিতে ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন।
এছাড়া এইচএসসি ২০১৯ পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সকল শিক্ষার্থীর জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যমূলক বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া জিপিএ উন্নয়ন ও আংশিক বিষয়ে অর্থাৎ এক, দুই বা তিন বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয় বলেও জানিয়েছে ঢাকা বোর্ড।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক শিক্ষাকে জানান, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আগেই দেয়া ছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো ফরম পূরণে এ নির্দেশনা না মানায় ফের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছিল ঢাকা মধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এসএসসি ও এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া যাবে না। এছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষার উত্তরপত্র ছয় মাস সংরক্ষরণ করতে বলা হয় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি চিঠি পাঠায়। দুদকের চিঠিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনিয়ম রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল।
বিষয়টি অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে গত ১৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আন্ত: শিক্ষা বোর্ড সাব সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে দুদকের পাঠানো চিঠির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।