ফের কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এ কারণে আজ বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কওমি মাদরাসা বোর্ড।
আরো পড়ুন: কওমির প্রশ্নফাঁস : বেফাকের ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি
কওমির প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা বাতিল
নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবি কওমি ফোরামের
বিষয়টি কওমি মাদরাসা বোর্ডের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান মুফতি রুহুল আমিন আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে দাওরায়ে হাদিস জামাতের আজকের (বৃহস্পতিবার) আবু দাউদ শরিফের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ের পরীক্ষা পুনরায় কবে অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চাইলে তিনি জানান, সে সম্পর্কে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী বিষয়গুলোর পরীক্ষা ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে কিনা সে বিষয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) একটি জরুরি বৈঠক হবে। বৈঠকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র নেতৃবন্দ উপস্থিত থাকবেন। তারাই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিবেন আগামী বিষয়গুলোর পরীক্ষা ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে কিনা। যা পরে জানানো হবে।
এর আগে কওমি মাদরাসার প্রশ্নফাঁসের ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিতি করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফী।
এরআগে প্রশ্নফাঁস হওয়ায় ১২ এপ্রিল কওমি মাদরাসার অধিভুক্ত দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সনদের সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয়বার হোঁচট খেলো এ সংস্থাটি ।
১২ এপ্রিল সকালে ঢাকার মতিঝিলে সংস্থাটির কার্যালয়ে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে আলোচনা হয় । এবং পরবর্তীতে যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় সে বিষয়েও করণীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ফের ঘটল প্রশ্নফাঁসের ঘটনা।
গত ৮ এপ্রিল কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৮ এপ্রিল। কিন্তু বাতিল হওয়া সকল পরীক্ষা নতুন করে গ্রহণের কারণে ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। তবে ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে পরীক্ষা বিরতি থাকবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে ১৯ সেপ্টেম্বর ‘কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ পাস হয়।
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে কওমি সনদকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা ও গেজেট প্রকাশ হয়।